বাগেরহাটের চারটি আসন পুনর্বহালের দাবিতে জেলা প্রশাসন ও নির্বাচন অফিস ঘেরাও করেছেন সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির নেতাকর্মীরা। রবিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকালে পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী শত শত নেতাকর্মী বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নেন।
এ সময় বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ওহিদুজ্জামান দীপু, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এম এ সালাম, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক খাদেম নিয়ামুন নাসির আলাপ, জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি শেখ মোহাম্মদ ইউনুস, জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির অ্যাড. আব্দুল ওদুদ, জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি ফকির আরকুল ইসলামসহ বিভিন্ন দলের শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
বিক্ষোভ মিছিলে বক্তারা বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের নতুন আসন বিন্যাস বাগেরহাটের জনগণের প্রত্যাশার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। দীর্ঘদিন ধরে আমরা চারটি আসনে নির্বাচন করে আসছি এবং এটিই ছিল বাগেরহাটবাসীর সর্বসম্মত দাবি। কিন্তু নির্বাচন কমিশন আমাদের দাবিকে উপেক্ষা করে চারটি আসনের পরিবর্তে তিনটি আসন রেখে চূড়ান্ত গেজেট প্রকাশ করেছে, যা সম্পূর্ণ অগণতান্ত্রিক।’
গেলো ৩০ জুলাই দুপুরে আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাগেরহাটের চারটি আসনের মধ্যে একটি আসন কমিয়ে জেলায় তিনটি আসন করার প্রাথমিক প্রস্তাব দেয় নির্বাচন কমিশন। এরপর থেকেই বাগেরহাটবাসী আন্দোলন শুরু করে। চারটি আসন বহাল রাখার দাবিতে নির্বাচন কমিশনের শুনানিতে অংশগ্রহণ করেন বাগেরহাটবাসী। এরপরেও ৪ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশন শুধু সীমানা পরিবর্তন করে তিনটি আসনই জারি রেখে চূড়ান্ত গেজেট প্রকাশ করে। নির্বাচন কমিশনের এই আসন বিন্যাস গণমানুষের দাবিকে উপেক্ষা করেছে বলে জানান সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির নেতাকর্মীরা।
চূড়ান্ত গেজেট অনুযায়ী, বাগেরহাট-১ (বাগেরহাট সদর-চিতলমারী-মোল্লাহাট), বাগেরহাট-২ (ফকিরহাট-রামপাল-মোংলা) ও বাগেরহাট-৩ (কচুয়া-মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা)।
দীর্ঘদিন থেকে ৪টি আসনে নির্বাচন হয়ে আসছিল বাগেরহাটে। তখনকার সীমানা: বাগেরহাট-১ (চিতলমারী-মোল্লাহাট-ফকিরহাট), বাগেরহাট-২ (বাগেরহাট সদর-কচুয়া), বাগেরহাট-৩ (রামপাল-মোংলা) ও বাগেরহাট-৪ (মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা)।