সুন্দরবনে ঘুরতে এসে শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সাগরে ভেসে গিয়ে নিখোঁজ কিশোর মাহিত আব্দুল্লাহর (১৬) ভাসমান মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিখোঁজের ৩০ ঘণ্টা পর রবিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৩টায় তার মরদেহ উদ্ধার করেন জেলেরা। মরদেহটি কচিখালী কোস্টগার্ডের কাছে রয়েছে।
মৃত পর্যটকের বাড়ি ঢাকার মোহাম্মদপুরের শেখেরটেক।
পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের কচিখালী অভয়ারণ্য কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফরেস্টার মিজানুর রহমান বলেন, ‘শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে ডিমেরচরে সমুদ্রের পানিতে নেমে বাবা ও ভাইদের সঙ্গে হাঁটার সময় হঠাৎ সাগরের জোয়ারে মাহিত আব্দুল্লাহকে (১৬) ভাসিয়ে নিয়ে যায়। বনরক্ষী ও কোস্টগার্ডের সদস্যরা তাৎক্ষণিক সাগরে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন।
খবর পেয়ে ওইদিন সন্ধ্যায় মোংলা থেকে কোস্টগার্ডের ডুবুরি দল এসে সাগরে ওই পর্যটকের মরদেহের তল্লাশি শুরু করেন। রবিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকালে আবার কোস্টগার্ডের ডুবুরি দল সাগরে নামেন। এদিন বিকাল ৩টার দিকে ডিমেরচরের দক্ষিণে সাগরে ভাসমান অবস্থায় মরদেহ জেলেরা উদ্ধার করেন। জেলেদের কাছ থেকে কোস্টগার্ড সদস্যরা মরদেহটি নেন।
ঘটনাস্থলে মৃত মাহিত আব্দুল্লাহর বাবা শেখ সুলতান মাহমুদ আসাদসহ নিকটাত্মীয়রা উপস্থিত রয়েছেন বলে বন কর্মকর্তা মিজানুর জানান।
জানা যায়, ঢাকা থেকে ৭৫ জন পর্যটক নিয়ে পর্যটকবাহী জাহাজ ‘এমভি দি এক্সপ্লোরার’ শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সকালে কচিখালীতে এসে নোঙর করে।
পূর্ব সুন্দরবন বন বিভাগ বাগেরহাটের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) রেজাউল করীম চৌধুরী এবং কোস্টগার্ড পশ্চিম জোন মিডিয়া সেল ডিমেরচরে পর্যটকের মরদেহ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।