Swadhin News Logo
সোমবার , ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | ৩১শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. best
  2. আন্তর্জাতিক
  3. কৃষি ও প্রকৃতি
  4. ক্যাম্পাস
  5. খেলাধুলা
  6. চাকরি
  7. জাতীয়
  8. জোকস
  9. তথ্যপ্রযুক্তি
  10. দেশজুড়ে
  11. ধর্ম
  12. নারী ও শিশু
  13. প্রবাস
  14. বই থেকে
  15. বিচিত্র নিউজ

আম্মার শেষ ইচ্ছেটাই পূরণ করেছি আমরা: ফরিদা পারভীনের ছেলে

প্রতিবেদক
Nirob
সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২৫ ২:২৭ পূর্বাহ্ণ
আম্মার শেষ ইচ্ছেটাই পূরণ করেছি আমরা: ফরিদা পারভীনের ছেলে

লালনসংগীতের বরেণ্য শিল্পী ফরিদা পারভীনের ছেলে ইমাম নাহিল বলেছেন, ‘আম্মা যখন অসুস্থ ছিলেন, তখন তার শেষ ইচ্ছেটা ছিল কুষ্টিয়াতে একবার আসতে চান। এবং ওনার শেষ ইচ্ছেটা ছিল তার মা-বাবার কবরে শায়িত করা হোক। আমরা মায়ের শেষ ইচ্ছেটাই পূরণ করছি।’

রবিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাতে কুষ্টিয়ায় ফরিদা পারভীনের জানাজার আগে এসব কথা বলেন ছেলে ইমাম নাহিল। তার শেষ ইচ্ছে অনুযায়ী বাবা-মায়ের কবরে শায়িত করা হয়েছে। এদিন রাত সাড়ে ৮টার দিকে লাশবাহী গাড়ি পৌঁছায় কুষ্টিয়া পৌর কবরস্থানে। সেখানে রাত ৮টা ৪০ মিনিটে দ্বিতীয় জানাজা শেষে মা-বাবার কবরে দাফন করা হয়। এ সময় তার দুই ছেলে ইমাম নাহিল, ইমাম নিমেরী, এক মেয়ে জিহান ফারিয়াসহ পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে শনিবার রাত ১০টা ১৫ মিনিটে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সংগীতশিল্পী ফরিদা পারভীন (৭১)। দীর্ঘদিন ধরে কিডনি জটিলতায় ভুগছিলেন।

জানাজায় লালন একাডেমির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফীন, চিন্তক ও কবি ফরহাদ মজহার অংশ নেন। ফরিদা পারভীনের জানাজা পড়ান কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মোল্লা মো. রুহুল আমীন।

জানাজার আগে ফরিদা পারভীনের ছেলে ইমাম নাহিল মায়ের জন্য দোয়া চেয়ে বলেন, ‘কুষ্টিয়াতেই আমার আম্মার বেড়ে ওঠা। এখানে থেকেই তার জীবনের বড় অংশ কাটিয়েছেন। তার কোনও অন্যায় যদি হয়ে থাকে, সন্তান হিসেবে করজোড়ে ক্ষমা প্রার্থনা করছি। কুষ্টিয়ার কথা আম্মা সবসময় বলতেন।’

ফরিদা পারভীনের লাশ কুষ্টিয়া পৌর গোরস্তানে নেওয়ার পর জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়।

ফরহাদ মজহার বলেন, ‘কুষ্টিয়া হলো নদীয়া। এই নদীয়ার ভাবের কথা ফকির লালন জানে কী তা। বিশাল ভাবের জগৎ। সেই বিশাল ভাবের জগৎটা একেবারে অন্ধকারের গর্ভে হারিয়ে গিয়েছিল। ফরিদা পারভীনের মাধ্যমে এটা সামনে এসেছে। ফরিদার গানের যে মাধুর্য, তার গলার যে মাধুর্য, তার যে বিশেষভাবে পরিবেশনার ভঙ্গি, সাধু জগতে অত্যন্ত পরিচিত। এখানকার যে ভাব সংগীত, সেটার দীর্ঘ ইতিহাস আছে, সেই দীর্ঘ ইতিহাসের যে সুতাটা ছিঁড়ে গিয়েছিল, সেই সুতাটা ফরিদা পারভীন বেঁধে দিয়েছেন।’

প্রসঙ্গত, লালনগীতিতে অবদানের জন্য ১৯৮৭ সালে একুশে পদক পান ফরিদা পারভীন। এর বাইরে ১৯৯৩ সালে ‘অন্ধ প্রেম’ চলচ্চিত্রে ব্যবহৃত ‘নিন্দার কাঁটা’ গানটির জন্য শ্রেষ্ঠ সংগীতশিল্পী (নারী) হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন। এছাড়া ২০০৮ সালে জাপানের ফুকুওয়াকা পুরস্কার পান।

সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক