ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় মনিয়ন্দ ইউনিয়নের গ্রীসনগরে অবৈধ রেলক্রসিং বন্ধ করতে গিয়ে স্থানীয়দের বাধার মুখে পড়েছেন রেলওয়ে কর্মীরা। আজ বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
এ সময় উত্তেজনা দেখা দেওয়ায় অবৈধ রেলক্রসিংটি বন্ধ না করেই ফিরে আসেন তারা।
স্থানীয় ও রেলপথ সংশ্লিষ্টরা জানান, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মনিয়ন্দ ইউনিয়নের গ্রীসনগরে অবৈধ রেলক্রসিংটি বন্ধ করতে যান কুমিল্লা সাব-ডিভিশন রেলের কর্মী মিজানুর রহমানসহ কুমিল্লার কয়েকজন সদস্য। তারা অননুমোদিত ওই রাস্তা বন্ধ করতে গেলে স্থানীয়রা বাধা দেন। এর প্রতিবাদে স্থানীয়রা রেলপথ অবরোধ করে ট্রেন থামিয়ে বিক্ষোভ করেন। এ সময় বিক্ষোভকারীরা চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী চট্টলা এক্সপ্রেস ও ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা চট্টগ্রামগামী মহানগর প্রভাতী এক্সপ্রেস ট্রেন প্রায় ২০ মিনিট অবরোধ করে রাখেন। পরে কুমিল্লার রেলকর্মীরা অবৈধ রেলক্রসিংটি বন্ধ না করেই চলে যান।
খবর পেয়ে আখাউড়া রেলওয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে যায় এবং স্থানীয় বিএনপি নেতা উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লিলু মিয়া, জাহাঙ্গীর আলম ও স্থানীয় মেম্বার দুলাল মিয়ার সহযোগিতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ রাস্তা বন্ধ না করে চলে যাওয়ার পর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
স্থানীয়দের দাবি, জোর করে যদি ওই পথে খুঁটি স্থাপন করে যোগাযোগ বন্ধ করা হয়, তবে পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটতে পারে।
আখাউড়া রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘রেলক্রসিংটি অবৈধ হওয়ায় কর্তৃপক্ষ সেটি বন্ধ করতে যায়। কিন্তু স্থানীয়রা বাধা দেন। এতে সাময়িকভাবে দুটি ট্রেন আটকা পড়ে। পরে এলাকাবাসীকে আশ্বস্ত করা হয়েছে যে বিষয়টির সমাধান করা হবে।’
উল্লেখ্য, গত ১৫ সেপ্টেম্বর এই অবৈধ রেলক্রসিংটি অতিক্রম করতে গিয়ে সিএনজিচালিত অটোরিকশার সঙ্গে চট্টগ্রাম থেকে জামালপুরগামী বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেনের ধাক্কা লেগে ঘটনাস্থলেই অটোরিকশার দুই যাত্রীর মৃত্যু হয়। এরপর রেলক্রসিংটি বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয় রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।