ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার তৃণমূল কর্মীরা বিএনপির দ্বৈতনীতি ও স্ববিরোধী অবস্থানের কারণে হতাশ। সুশীল সমাজ, পেশাজীবী ও বিবেকবান মানুষজনও দলের নীতিনির্ধারণী নেতৃবৃন্দের কার্যক্রম নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন।
ভালুকার ব্র্যাক এনজিওর নার্সারির জমি দখল ও বিভিন্ন মিল-ফ্যাক্টরিতে চাঁদাবাজির অভিযোগে প্রাথমিক সদস্যপদসহ বিএনপি নেতা ফখরুদ্দিন আহম্মেদ বাচ্চুকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এ ব্যাপারে দলের পক্ষ থেকে একজন যুগ্ম মহাসচিব বাদী হয়ে ভালুকা মডেল থানায় মামলা করেন।
তবে বহিষ্কৃত বাচ্চু দলের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে নিজস্ব দলবল নিয়ে দলের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন এবং ভালুকায় চাঁদাবাজি অব্যাহত রেখেছেন। ইদানিং লক্ষ করা যাচ্ছে যে, ফখরুদ্দিন বাচ্চু তৃণমূল কর্মীদের মাঝে ছড়িয়েছেন যে তিনি স্থায়ী কমিটির কয়েকজনকে ম্যানেজ করেছেন এবং মনোনয়ন পাবেন। গতকাল রবিবারও বাচ্চু পক্ষের ছাত্রদল নামধারী উচ্ছৃঙ্খল ছেলেরা ভালুকা থানার সামনে বিক্ষোভ করেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক তৃণমূল নেতা বলেন, ‘দলে যদি পুনরায় বহিষ্কৃত কর্মীকে মূল্যায়ন করা হয়, তাহলে সারা দেশে বিএনপির চেইন অব কমান্ড সম্পর্কে জনগণের মধ্যে খারাপ ধারণা সৃষ্টি হতে পারে এবং চাঁদাবাজিসহ অন্যান্য অনিয়মের পুনরাবৃত্তি ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে।’
এ বিষয়ে জানতে ফখরুদ্দিন আহম্মেদ বাচ্চুকে বারবার ফোন করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। তাই তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
প্রসঙ্গত, সংগঠনবিরোধী কার্যকলাপে লিপ্ত থাকার সুস্পষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও ভালুকা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ফখরুদ্দিন আহমেদ বাচ্চুকে দলের প্রাথমিক সদস্যপদসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে বহিস্কার করেছে কেন্দ্রীয় বিএনপি।
গত ১ সেপ্টেম্বর (সোমবার) দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।

















