রাজশাহীতে দুই উপজেলায় খেলতে গিয়ে পুকুরে ডুবে চার শিশুর মৃত্যু হয়েছে। পৃথক ঘটনায় গোদাগাড়ীতে দুই শিশু এবং পুঠিয়ায় দুই শিশু মারা গেছে। সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ও দুপুরে এসব ঘটনা ঘটে।
মৃত শিশুরা হলো– গোদাগাড়ী উপজেলার মাথাভাঙ্গা গ্রামের রুহুল আমিনের দুই বছর বয়সী মেয়ে কারিমা খাতুন এবং একই এলাকার রাব্বুলের দুই বছর বয়সী ছেলে রাফি; পুঠিয়া উপজেলার কানাইপাড়া গ্রামের রনির ২০ মাস বয়সী শিশুসন্তান রাশাদ এবং নন্দনপুর তেলিপাড়া গ্রামের সাইদুর ইসলামের ছেলে মুসা (৫)।
কারিমা ও রাফির পরিবারের সদস্যরা জানান, সকালে খেলতে খেলতে বাড়ির পাশে থাকা একটি পুকুরে পড়ে যায় দুই শিশু। কিছুক্ষণ পর তাদের খুঁজে না পেয়ে স্বজনরা চারদিকে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। পরে স্থানীয়রা পুকুরে ভাসমান অবস্থায় তাদের দেখতে পান। তারা দ্রুত উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যান। তবে দুপুর ১২টা ৩০ মিনিটে কর্তব্যরত চিকিৎসক দুই শিশুকেই মৃত ঘোষণা করেন।
গোদাগাড়ী মডেল থানার ওসি (তদন্ত) মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, আইনগত ব্যবস্থা শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘ছোট শিশুদের বাড়ির আশপাশে খেলার সময় বিশেষ সতর্ক থাকতে হবে। কারণ সামান্য অসাবধানতা বড় ধরনের দুর্ঘটনার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।’
এদিকে, পুঠিয়া উপজেলার কানাইপাড়া গ্রামের শিশু রাশাদ খেলতে খেলতে বাড়ির পাশে পুকুরে পড়ে যায়। পরে খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে শিশুটিকে পুকুরে ভাসতে দেখে স্থানীয় ও পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করেন। পুঠিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ছাড়াও পুঠিয়া উপজেলার ভালুকগাছী ইউনিয়নের নন্দনপুর তেলিপাড়া গ্রামের শিশু মুসা সোমবার বেলা ১২টায় বাড়ির পাশে থাকা পুকুরের পানিতে পড়ে মারা গেছে।
এ ব্যাপারে পুঠিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবীর হোসেন জানান, শিশুর পুকুরের পানিতে ডুবে মৃত্যুর ঘটনায় একটি ইউডি মামলা হয়েছে।