খাগড়াছড়িতে চলমান অবরোধ ও ১৪৪ ধারার প্রভাব পড়েছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পূজায়। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপূজার মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) মহাঅষ্টমী হলেও দৃশ্যত ফাঁকা ছিল পূজা মণ্ডপগুলো। প্রতি বছর মহাঅষ্টমীর দিনে পূজা মণ্ডপগুলো লোকে লোকারণ্য থাকলেও এ বছর তা দেখা যাচ্ছে না। পূজা মণ্ডপগুলো একেবারে খালি বলা যায়। ভক্ত ও দর্শনার্থীদের ভিড় নেই বললেই চলে।
এ বিষয়ে খাগড়াছড়ি বিশিষ্ট ব্যবসায়ী অনন্ত বিকাশ ত্রিপুরা বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে সংগঠিত ঘটনার কারণে প্রভাব পড়েছে দুর্গাপূজার অনুষ্ঠানে। প্রতি বছর হাজার হাজার লোক এই উৎসব উদযাপন করে। উৎসবটি সার্বজনীন হলেও চলতি বছর অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণে প্রভাব পড়েছে। ভক্ত ও দর্শনার্থীদের সংখ্যা খুবই কম।
সনাতন ছাত্র যুব পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক লিটন চৌধুরী জানান, জেলায় চলতি বছর ৬৪ পূজা মণ্ডপে দুর্গাপূজার আয়োজন করা হয়েছে। চলমান সংঘাতে তার প্রভাব পড়েছে। পূজা মণ্ডপে দর্শনার্থীদের সংখ্যা খুবই কম। প্রতি বছর এই পূজাকে কেন্দ্র করে প্রায় ১০ দিনব্যাপী মেলার আয়োজন হতো। চলতি বছর নিরাপত্তা সংকটেও মেলার আয়োজন করা যায়নি।
খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শেফালিকা ত্রিপুরা জানান, একটা অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার কারণে দুর্গাপূজার আনন্দ ম্লান হয়েছে। ভবিষ্যতে যেন এরকম না হয় এ বিষয়ে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।
খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক এ বি এম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকার জানান, সরকার সব ধর্মের প্রতি আন্তরিক ও শ্রদ্ধাশীল এবং ধর্মীয় কর্মাদি পালনে সহনশীল। জেলায় চলমান অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার প্রেক্ষিতে দুর্গাপূজার উৎসব কিছুটা ম্লান হলেও নবমী ও দশমীতে আনন্দ বাড়বে।
জেলা পুলিশ সুপার আরেফিন জুয়েল বলেন, প্রতিটি পূজা মণ্ডপে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সবকিছু ঠিক থাকলে নবমী ও দশমীর দিন আনন্দ উৎসব করতে পারবেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা।