ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জ অংশে সকাল থেকে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যানজটের তীব্রতা কমলেও যানবাহনের বাড়তি চাপ রয়েছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রী ও চালকরা।
বুধবার (১ অক্টোবর) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত মহাসড়কের সাইনবোর্ড থেকে মেঘনা টোলপ্লাজা পর্যন্ত প্রায় ১৮ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে এই ভোগান্তির চিত্র দেখা গেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সকাল থেকে বৃষ্টি ও মহাসড়কের দড়িকান্দি এলাকায় একটি গাড়ি বিকল হওয়াতে চট্টগ্রামমুখী লেনে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যানজটের তীব্রতা কমতে শুরু করে। দুপুরের দিকে যানজট কমে গিয়ে যানবাহনের বাড়তি চাপ দেখা গেছে মহাসড়কে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রী ও চালকরা। আবার অনেক যাত্রী পায়ে হেঁটেই গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন।
পূজার ছুটিতে গ্রামের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন শিলা দাস। তিনি বলেন, ‘সকাল থেকে মহাসড়কে অনেক যানজট ছিল। সাইনবোর্ড থেকে মেঘনা টোলপ্লাজা পর্যন্ত যেতে যেখানে আধা ঘণ্টা সময় লাগে, আজ সেখানে তিন থেকে চার ঘণ্টা লেগে যাচ্ছে।’
ব্যবসার উদ্দেশে সোনারগাঁয়ের দিকে রওনা দিয়েছেন আবুল মিয়া। তিনি বলেন, ‘সকালে সোনারগাঁয়ে যাওয়ার সময় অনেক যানজট পড়েছিল। দুপুরের দিকে নারায়ণগঞ্জে ফেরার পথে যানজট না থাকলেও গাড়ির অনেক চাপ ছিল।’
কাঁচপুর হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের জিলানী বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘সকাল থেকে বৃষ্টিসহ গাড়ির দ্বিগুণ চাপ থাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়েছিল। তবে এখন মহাসড়কে গাড়ির অনেক চাপ থাকলেও যানজট নেই। পূজার ছুটির কারণে মহাসড়কে গাড়ির সংখ্যা অনেক বেড়েছে।’