কুমিল্লায় আন্তজেলা ‘ডাকাত দলের প্রধান’ শাহ আলম দুলাল (৪৮) ও তার ১৩ সহযোগীকে দেশি অস্ত্রসহ গ্রেফতারের কথা জানিয়েছে পুলিশ। মঙ্গলবার ভোররাত ৪টার দিকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। বুধবার (০১ অক্টোবর) দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মাদ নাজির আহমেদ খাঁন।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ জানায়, গত ২৮ সেপ্টেম্বর রাতে দেবিদ্বার থানার ভিংলাবাড়ী এলাকায় জেলা গোয়েন্দা শাখা ও দেবিদ্বার থানা পুলিশের যৌথ চেকপোস্টে একটি মাইক্রোবাসকে থামতে সংকেত দেওয়া হয়। তারা পালানোর চেষ্টা করলে পুলিশ গ্রেফতার করে। এ সময় গাড়ি থেকে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত দেশি অস্ত্র, ও মোবাইলসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম জব্দ করা হয়েছে। সেইসঙ্গে গাড়িটিও আটক করা হয়।
জব্দকৃত সরঞ্জাম ও দেশি অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে একটি কালো রঙের মাইক্রোবাস, দুটি কাটার প্লাস, দুটি কুড়াল, দুটি স্টিলের রড, দুটি লোহার চেইন, একটি ডেগার, দুটি রামদা, একটি ধামা, একটি চাপাতি, একটি বাটযুক্ত চেইন, একটি নীল রংয়ের ব্যাগ, দুটি প্লাস্টিকের বস্তা, ১১টি মোবাইল ফোন।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- ডাকাত দলের প্রধান দেবিদ্বার থানার নবীয়াবাদ এলাকার শাহ আলম দুলাল (৪৮), মুরাদনগর থানার উড়িরচর এলাকার মো. মনির হোসেন (৪০), ব্রাহ্মণপাড়া থানার মো. মামুন মিয়া (২৪), একই থানার মাহবুব আলম (৩৮), সদর দক্ষিণ থানার বিজয়পুরের আলমগীর হোসেন (৩০), বুড়িচং থানার জুরাইন মাইকপাড়ার মো. আল আমিন (৩২), বরুড়া থানার মহেশপুরের কাজী বাড়ির মো. কামাল হোসেন (৩২), চান্দিনা থানার মোশারফ শরীফ (৩২), একই থানার মো. সুমন (৩৩), বরুড়া থানার বাশতলী নোয়াবাড়ীর মো. খোকন (৪০), একই থানার দক্ষিণ হোসেনপুরের আল আমিন (২৫), চান্দিনা থানার চিরাল্লা এলাকার মো. সোহেল (২৬), বাঙ্গরাবাজার থানার হিরাকাশীর মো. আব্দুল আউয়াল (৫০) ও চাঁদপুরের মতলব উত্তর থানার সন্তোপুরের নিহার বিশ্বাস (৪৮)।
পুলিশ জানিয়েছে, তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে একাধিক ডাকাতির মামলা রয়েছে। তবে ডাকাত দলের প্রধান শাহ আলম দুলালের বিরুদ্ধে আছে ২৬টি ডাকাতি মামলা। তিনি ২০ বছর ধরে ডাকাতি করছেন।
পুলিশ সুপার মোহাম্মাদ নাজির আহমেদ খাঁন বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে এই চক্রের ওপর নজরদারি চালানো হয়। তারা ঢাকা-চট্টগ্রাম ও কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কসহ বিভিন্ন এলাকায় ডাকাতি করতো। অবশেষে দলের প্রধানসহ ১৩ জন সহযোগীকে গ্রেফতার করা হয়। বুধবার তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।’

















