দেবী দুর্গার বিসর্জনের মধ্য দিয়ে আজ বৃহস্পতিবার শেষ হয়েছে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। চট্টগ্রাম নগরের পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকত, অভয়মিত্র ঘাট, কালুরঘাটসহ বিভিন্ন স্থানে প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয়। এ সময় বিসর্জন দেখতে পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকতে মানুষের ঢল নামে।
বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) দুপুর ২টা থেকে সমুদ্রসৈকতে শুরু হয় একে একে প্রতিমা বিসর্জন। তবে আবহাওয়া বৈরী থাকায় কিছুটা বেগ পেতে হয় ভক্তদের।
পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকতে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে শারদীয় দুর্গোৎসবের বিসর্জন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন।
এদিকে, তেল-সিঁদুর পরিয়ে, পান, মিষ্টি মুখে দিয়ে দেবী দুর্গাকে বিদায় জানাতে পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকতে ভিড় করেছেন ভক্ত-অনুরাগীরা।
বিভিন্ন এলাকার পূজামণ্ডপ থেকে ট্রাকে পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকতে বিসর্জনের জন্য প্রতিমা নিয়ে যাওয়া হয়। বিসর্জন দেখতে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পাশাপাশি বিভিন্ন সম্প্রদায়ের লোকজনও সৈকতে ভিড় করেন।
দেবী দুর্গার বিসর্জনকে ঘিরে পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকত এলাকায় ব্যাপক নিরাপত্তাবলয় গড়ে তোলা হয়। নগর পুলিশের পাশাপাশি, ট্যুরিস্ট পুলিশসহ কোস্টগার্ডের টিম দায়িত্ব পালন করে।
পতেঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী মো. সুলতান আহসান উদ্দীন জানান, শান্তিপূর্ণভাবে সাগরে প্রতিমা বিসর্জন দিচ্ছেন হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা। নির্বিঘ্নে প্রতিমা বিসর্জনের জন্য সৈকত ও আশপাশের এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম মহানগর পূজা উদ্যাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নিখিল কুমার নাথ নলেন, ‘নগরীর ২৯২টির মধ্যে শতাধিক পূজামণ্ডপের বিসর্জন হবে পতেঙ্গায়। এর বাইরে কর্ণফুলি নদীর অভয়মিত্র ঘাট, কালুরঘাট, পারকি সৈকতে এবং স্থানীয় পুকুরে বিসর্জন অনুষ্ঠিত হবে।
পূজা কমিটির হিসাব অনুযায়ী, এ বছর নগরীতে ২৯২টি এবং জেলার ১৬ উপজেলায় এক হাজার ৫০৮টি মণ্ডপে পূজা হয়েছে। এর বাইরে রয়েছে অনেক ঘট পূজা।