ফরিদপুরের ভাঙ্গা পৌরসভার হাসামদিয়া ফ্লাইওভারের নিচে গতকাল শুক্রবার রাতে বসেছে ইলিশের মেলা। মেলাকে ঘিরে ইলিশ কিনতে ভাঙ্গাসহ আশপাশের কয়েক উপজেলার হাজারো মানুষ এসে ভিড় জমিয়েছেন।
শনিবার (৪ অক্টোবর) থেকে আগামী ২৫ অক্টোবর (শনিবার) পর্যন্ত ইলিশ ধরা ও ক্রয়-বিক্রয় সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ থাকায় শেষ দিনে বসেছে মেলা। এ উপলক্ষে প্রতি বছরের মতো শুক্রবার সন্ধ্যার পর থেকে ভোররাত পর্যন্ত চলে বেচা-কেনা। মাছ কিনতে দূর-দূরান্ত থেকে হাজারো মানুষের ঢল নামে মেলাতে।
মাছ কম কিন্তু ক্রেতা বেশি, তারপরও দাম বাড়েনি। ক্রেতাদের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে ছিল ইলিশের দাম। এদিন ইলিশ কিনতে পেরে নিজেদের সন্তুষ্টির কথা জানান আব্দুল মান্নান, দিলীপ দাস, রহমান শেখসহ কয়েকজন ক্রেতা।
বাজারের চেয়ে ১০০ থেকে ২০০ টাকা কম দামে বিক্রি হয় রুপালি ইলিশ। এ মেলায় ১ কেজি সাইজের ইলিশ বিক্রি হয় ২০০০ থেকে ২২০০ টাকা দরে। ৫০০ গ্রাম সাইজের ইলিশ ৮০০-১০০০ টাকা। ২৫০ গ্রাম সাইজের ইলিশ ৫৫০ টাকা থেকে ৬০০ টাকা কেজি।
ইলিশের মেলাকে ঘিরে ভাঙ্গাসহ আশপাশের প্রতিটি গ্রাম থেকে আসেন হাজারো ক্রেতা ও দর্শনার্থী। মেলাটি বছরে একবারই হয়। রাতভর বিক্রি হয় রুপালি ইলিশ।
ইলিশ বিক্রেতা নারায়ণ দত্ত, হারান সাহা, জাকির হোসেন জানান, গত বছরের তুলনায় এ বছর মাছ কম, কিন্তু দাম আগের মতোই। বেশি না, বাজারে দাম মোটামুটি।
তারা জানান, এ বছর মেলাতে ৮০ থেকে ১০০ টন ইলিশ বিক্রি হয়েছে।