ইলিশের নিরাপদ প্রজনন নিশ্চিতে শুক্রবার মধ্যরাত থেকে শুরু হয়েছে মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান। আগামী ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত নদী-সাগরে ইলিশসহ সব ধরনের মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।
এ বছর প্রথমবারের মতো ড্রোন দিয়ে নদী পর্যবেক্ষণ করবে প্রশাসন।
ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান সফল করতে বরিশালে নৌর্যালি বের করা হয়। বরিশালের জেলা প্রশাসন ও মৎস্য অধিদফতরের উদ্যোগে আজ শনিবার (৪ অক্টোবর) বেলা ১২টায় কীর্তনখোলা নদীতে র্যালি বের হয়। র্যালিতে প্রশাসনের সঙ্গে মৎস্য অধিদফতর, র্যাব, নৌপুলিশ এবং কোস্টগার্ড সদস্যরা অংশ নেন। র্যালিতে বরিশালের জেলা প্রশাসক, পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, মৎস্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
র্যালিটি কীর্ত্তণখোলা নদীর বেলতলাসহ অন্যান্য নদী প্রদক্ষিণ করে।
নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নে জেলেদের সহায়তায় ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় প্রত্যেক জেলেকে ২৫ কেজি করে চাল বিতরণ করা হবে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন। তিনি বলেন, ‘জেলেদের জন্য পর্যাপ্ত চাল বরাদ্দ রাখা হয়েছে। গত বছর দু-একটি অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে। আমরা চাই এ বছর ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে পালন করবে। ২২ দিন পর আবার জেলেরা নদীতে মাছ শিকার করতে পারবে। এজন্য সবাইকে সচেতন হতে হবে।’
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা রিপন কান্তি ঘোষ জানিয়েছেন, বরিশালের মেঘনা নদীতে মাছ ধরা বন্ধ রাখতে নৌপুলিশ ও হিজলা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার উদ্যোগে ড্রোন উড়িয়ে নজর রাখা হবে। এ ছাড়া অভিযান পরিচালনার জন্য জেলায় ৩০ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, বরিশাল জেলায় মোট জেলের সংখ্যা ৭৯ হাজার ৬২৩ জন। এর মধ্যে কার্ডধারী জেলে ৬৬ হাজার ৫২৪ জন। কার্ডধারী জেলেদের জন্য ১ হাজার ৬৬৩ দশমিক ১ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে প্রত্যেক জেলে ২৫ কেজি করে চাল পাবেন। কেউ নিষেধাজ্ঞা অমান্য করলে ২ বছরের কারাদণ্ড, ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা, অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।