মা ইলিশ রক্ষায় সরকারঘোষিত নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার পদ্মা নদীতে শনিবার সকালেই অভিযান পরিচালনা করেছে প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্টরা।
শনিবার (৪ অক্টোবর) সকাল ১০টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন সম্পর্কিত উপজেলা ট্রাস্কফোর্স গোয়ালন্দের আয়োজনে দৌলতদিয়া ৬ নম্বর ফেরিঘাট থেকে শুরু করে, চর কর্ণেশন, চর মজলিসপুর, ধোলাইয়ের চর, কলাবাগান চ্যানেলসহ পদ্মা নদীর বিভিন্ন স্থানে ইঞ্জিনচালিত ট্রলার নিয়ে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
সরেজমিন অভিযানে নিষেধাজ্ঞার প্রথম দিনে পদ্মা নদীতে কোনও জেলে দেখা যায়নি। তবে নদীপাড়ে মাছ ধরার উদ্দেশ্যে অসাধু কিছু জেলে জাল রেখেছিল। প্রশাসনের ট্রলার দেখে তারা নদীর সরু গলিতে তাদের মাছধরা ট্রলার নিয়ে চলে যায়। এর মধ্যেই একটি মাছধরা ট্রলার ফেলে ২-৩ জন জেলে দৌড়ে পালায়। পরে সেই ট্রলার ও জাল জব্দ করেন গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. নাহিদুর রহমান।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা আনোয়ারুল ইসলাম পাইলট, মা ইলিশ রক্ষায় কোস্টগার্ডের দায়িত্বে থাকা পেটি অফিসার শাহিন আলম, দৌলতদিয়া নৌপুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) মেহেদী হাসান অপূর্বসহ পুলিশ ও কোস্টগার্ডের দল।
এ বিষয়ে ইউএনও মো. নাহিদুর রহমান বলেন, ‘মা ইলিশ রক্ষায় জেলা প্রশাসকের নির্দেশে কঠোর অবস্থানে থেকে অভিযান চলছে এবং এ অভিযান প্রতিদিনই পরিচালনা করা হবে। এ সময় নদীতে থাকা জেলেদের আটকসহ জাল ও অন্যান্য সামগ্রী জব্দ এবং আটকৃতদের মৎস্য আইন অনুযায়ী বিভিন্ন মেয়াদে সাজা প্রদান করা হবে। সরকারঘোষিত নিষিদ্ধ সময় পর্যন্ত অভিযান অব্যাহত থাকবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আজ নদী থেকে আনুমানিক ৫০০ মিটার কারেন্ট জাল, মাছ শিকারে ব্যবহৃত একটি ট্রলার ও দেড় কেজি ইলিশ জব্দ করা হয়েছে। জব্দকৃত জাল ফেরিঘাটে এনে পুড়িয়ে মাছগুলো নদীর তীরবর্তী অসহায় মানুষের মধ্যে বিতরণ করা হয় এবং নৌকাটি নৌপুলিশের হেফাজতে রাখা হয়।’
ইউএনও বলেন, ‘গত বছরের তুলনায় এবারের অভিযান আরও জোরালো করা হবে। যাতে কেউ পদ্মা নদী থেকে নিষিদ্ধ সময়ে মা ইলিশ ধরতে না পারে।’ প্রশাসনের পাশাপাশি সচেতন নাগরিকদের সজাগ থাকার আহ্বান জানান তিনি।