Swadhin News Logo
শনিবার , ৪ অক্টোবর ২০২৫ | ৩১শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. best
  2. cassinoBR
  3. আন্তর্জাতিক
  4. কৃষি ও প্রকৃতি
  5. ক্যাম্পাস
  6. খেলাধুলা
  7. চাকরি
  8. জাতীয়
  9. জোকস
  10. তথ্যপ্রযুক্তি
  11. দেশজুড়ে
  12. ধর্ম
  13. নারী ও শিশু
  14. প্রবাস
  15. বই থেকে

প্রশাসনের ‘বিশেষ সুবিধা’য় হলে জায়গা, সেই সুবিধাভোগীরাই চাকসু প্রার্থী

প্রতিবেদক
Nirob
অক্টোবর ৪, ২০২৫ ১০:৩৮ অপরাহ্ণ
প্রশাসনের ‘বিশেষ সুবিধা’য় হলে জায়গা, সেই সুবিধাভোগীরাই চাকসু প্রার্থী

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) আবাসিক হলগুলোতে প্রশাসনের প্রশ্রয়ে মেধা তালিকায় না থাকার পরেও ‘বিশেষ সুবিধা’ নিয়ে হলে থাকছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। এই সুবিধাভোগী নেতারাই এখন শিক্ষার্থীদের ভোটে নির্বাচিত চাকসুর নেতা হতে চাইছেন।

নিয়ম অনুযায়ী, মেধা তালিকার ভিত্তিতে আসন বরাদ্দের পর প্রতি হলে সর্বোচ্চ ১০ জন শিক্ষার্থীকে বিশেষ সুবিধায় আসন দেওয়া যায়। এই সুবিধা আর্থিকভাবে অসচ্ছল ও দূরবর্তী শিক্ষার্থীদের জন্য বরাদ্দ থাকার কথা। ​কিন্তু এই বিশেষ সুবিধার অপব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে ছাত্রদল, ছাত্রশিবিরসহ অন্যান্য রাজনৈতিক সংগঠনের অনেক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে। যাদের অনেকেই আবার আসন্ন চাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে বিভিন্ন পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

বিশেষ বিবেচনায় আসন বরাদ্দের বিষয়ে শাহজালাল হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. ফুয়াদ হাসান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘প্রথম যখন আসন বরাদ্দ হয়েছিল তখন আগের নীতিমালা অনুযায়ী হয়েছিল। সে অনুযায়ী তখন প্রাধ্যক্ষের হাতে বিশেষ বিবেচনায় ১০টি আসন বরাদ্দের ক্ষমতা ছিল। কিন্তু পরবর্তী সময়ে কেন্দ্রীয় আসন বরাদ্দ নীতিমালা পরিবর্তন হয়। তখন থেকে সিদ্ধান্ত হয় যে বিশেষ বিবেচনায় আসন বরাদ্দ আর প্রাধ্যক্ষের হাতে থাকবে না, এটা কেন্দ্রীয় আসন বরাদ্দ কমিটি দেখবে। অর্থাৎ উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) থেকে বিশেষ বিবেচনায় আসন বরাদ্দ নিয়ন্ত্রণ করা হয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘তবে বিশেষ বিবেচনায় আসন বরাদ্দের বিষয়ে এমন কোনও শর্ত নেই যে, আর্থিক অবস্থা দেখতে হবে বা দূরত্বের বিষয়টি দেখতে হবে। এটি সম্পূর্ণই প্রাধ্যক্ষ সিদ্ধান্ত নেবেন। মূলত প্রাধ্যক্ষের কাছে নানা ধরনের আবেদন আসে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে তাদের ওপর ১০টি আসনের সুযোগ রাখা হয়েছিল বিবেচনা করে দেওয়ার জন্য।’

তবে, রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের বিশেষ সুবিধায় হলে থাকার বিষয়টি বর্তমানে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গ্রুপ ও পেজগুলোতে তুমুল আলোচনা-সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে।

বিশেষ বিবেচনায় অতিরিক্ত আসন

বিশ্ববিদ্যালয়ের আলাওল হলে আসন বরাদ্দ নিয়ে গুরুতর অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি হলের কয়েকজন সচেতন ছাত্র একজন হাউস টিউটরকে সঙ্গে নিয়ে কক্ষ পরিদর্শনে গিয়ে দেখতে পান, বিশেষ বিবেচনায় সুপারিশ করা আসনের সংখ্যা নির্ধারিত কোটা ছাড়িয়ে গেছে বহুগুণে। বিশেষ সুপারিশে ১০টি আসন থাকার কথা থাকলেও, পরিদর্শনে মোট ৩৩টি সুপারিশ করা আসন চিহ্নিত করেন তারা। যার মধ্যে ১৪টি প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য নির্ধারিত হলেও, বাকি ১৯টি কক্ষের বেশির ভাগেই থাকছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। জানা গেছে, এই নেতাদের অনেকেই আবার বর্তমানে চাকসু হল সংসদ নির্বাচনে বিভিন্ন পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

বিশেষ বিবেচনায় ৩৩টি আসনের বিষয়ে আলাওল হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ এনামুল হক বলেন, ‘আমরা রুমে রুমে গিয়ে পরিদর্শন করেছি। আগামী রবিবার অফিস খুললে তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার কথা আছে। আমি আগামী রবিবার অফিসে গেলে খোঁজ নিয়ে দেখবো ওরা কতদূর, কী অবস্থায় আছে। তবে ওরা (৩৩ জন) প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া থাকতে পারবে না। আপাতত থাকলেও আমি অনুসন্ধান চালাচ্ছি ওখানে কেউ থাকতে পারবে না।’

শহীদ ফরহাদ হোসেন হল

ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের কেন্দ্রীয় সংসদের সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদপ্রার্থী আইয়ুবুর রহমান তৌফিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ ফরহাদ হোসেন হলে আসন বরাদ্দের সময় মেধাতালিকায় নাম না আসার পর একাধিকবার হল প্রাধ্যক্ষ বরাবর আবেদনপত্র দিয়েছিলেন। কিন্তু নাম না আসার পর পরবর্তী সময়ে তিনি ডাবলিং আসনে থাকছেন।

হলে থাকার বিষয়ে তৌফিক বলেন, ‘শহীদ ফরহাদ হলে ৩০২ নম্বর রুমে আমার এক বড় ভাইয়ের সিটে থাকি। ওই সিটে আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন থেকে ডাবলিং থাকার জন্য অনুমতি নিয়েছি। আর এই ডাবলিং নেওয়ার জন্য হল রুমে যে চার জন রুমমেট আছে তাদের সই নিয়েছি এবং যার সিট তাকে নিয়ে হল প্রাধ্যক্ষের সঙ্গে দেখা করে আবেদনপত্র দিয়েছি। এ ছাড়া বাকি চার জন রুমমেটও হাউস টিউটরের সঙ্গে দেখা করেছে। পরে হল প্রাধ্যক্ষ আমাকে ডাবল সিটে থাকার অনুমতি দেন। এরপর আমি হলে থাকছি। এক কথায় বলতে গেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব নিয়মকানুন মেনে আমি হলে থাকছি। কারও সিট দখল করিনি।’

সোহরাওয়ার্দী হল

বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের (বাগছাস) কেন্দ্রীয় যুগ্ম-আহ্বায়ক ও চাকসুর কেন্দ্রীয় সংসদে স্বতন্ত্র সহসভাপতি (ভিপি) পদপ্রার্থী মাহফুজুর রহমান সোহরাওয়ার্দী হলে বিশেষ বিবেচনায় নাম থাকলেও তিনি থাকেন বাইরে। আগে তিনি থাকলেও এখন থাকছেন না। এখন তার আসনে থাকছেন তার এক জুনিয়র যিনি জুলাইয়ে আহত।

মাহফুজ বলেন, ‘আসন বণ্টনের সময় আমরা পরামর্শ দিই যে, মেধা, দূরত্ব এবং আর্থিক অবস্থা এই তিনটি জিনিস বিবেচনা করে আসনগুলো যেন বণ্টন করা হয়। কিন্তু প্রশাসন বলে, এরকম কোনও নীতিমালা না থাকায় শুধু মেধার ভিত্তিতে আসনগুলো বণ্টন করা হয়। তখন আমরা প্রশাসনের সঙ্গে দেখা করি। প্রশাসন আমাদের জানায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি হলে প্রাধ্যক্ষের হাতে ১০ থেকে ১৫টি আসন থাকে, সেগুলোকে বিশেষ বিবেচনায় দিতে পারবে। তখন আমরা জানাই, জুলাই আন্দোলনে যারা ক্ষতিগ্রস্ত যারা হয়েছে তাদের যেন দেওয়া হয়। এভাবেই সোহরাওয়ার্দী হলে বিশেষ বিবেচনায় ৫ জনকে থাকতে দেওয়া হয়, যারা জুলাই আন্দোলনে ক্ষতিগ্রস্ত। সেই জায়গা থেকে আমার এক ছোট ভাই মশিউর রহমান ২০-২১ শিক্ষাবর্ষের। সে জুলাই আন্দোলনে ৫ আগস্ট গিয়ে হাত ভাঙে। সে উপস্থিত না থাকার কারণে ৫ জনের মধ্যে থেকে ওই ১টা আসন মশিউরের ছিল, যেটা আমার নামে নেওয়া হয়। গত এক বছর ওই আসনে সেই থাকছে, আমি একদিনও ছিলাম না। ওই বিষয়টাকে ভুলভাবে ছড়ানো হচ্ছে।’

এদিকে, একই হলে বিশেষ বিবেচনায় ডাবলিংয়ে থাকছেন বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের (বাগছাস) সাবেক কেন্দ্রীয় সংগঠক (সম্প্রতি বহিষ্কৃত) রশিদ দিনার। তিনি চাকসুর কেন্দ্রীয় সংসদে স্বতন্ত্র থেকে সহসাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদপ্রার্থী। তিনি হলের আসন বরাদ্দের সময় আবেদন না করলেও প্রাধ্যক্ষের মৌখিক অনুমতিতে বন্ধুর রুমে থাকছেন বলে জানান।

ইসলামী ছাত্রশিবিরের সোহরাওয়ার্দী হল শাখার সভাপতি নিয়ামত উল্লাহ (আবরার ফারাবি) সোহরাওয়ার্দী হলের আসন বণ্টনে মেধা তালিকায় না থাকলেও পরে বিশেষ বিবেচনায় হলে থাকছেন। তিনি সোহরাওয়ার্দী হল সংসদের সহ-সভাপতি (ভিপি) পদপ্রার্থী।

ফারাবি বলেন, ‘২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে হলে উঠেছি। তাও আমার বিভাগের বড় ভাইয়ের আসনে লিখিত অনুমোদন নিয়ে। হলে লিখিত অনুমোদন নিয়ে থাকা যায় ডাবলিং করে, যদি যার আসন তিনি অনুমতি দেন। তো আমার যেহেতু মাস্টার্সের দুটি পরীক্ষা বাকি রয়েছে, তাই আমি একটা আসনের জন্য অনেকবার  গিয়েছিলাম, স্যার ফিরিয়ে দিয়েছেন। প্রতিটি হলে প্রাধ্যক্ষের তত্ত্বাবধানে কিছু সিট থাকে। এ ছাড়া দীর্ঘদিন ধরে হলে আমি শিক্ষার্থীবান্ধব কাজ করে আসছি। হলের স্পোর্টস ক্লাব ও ডিবেট ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা আমি। লিখিত আবেদন করলে স্যারের কাছে দুটি আসন ছিল, একটা আমাকে দেওয়া হয়েছে।’

একই হলে আসন বরাদ্দে মেধা তালিকায় নাম নেই। তবে বিশেষ বিবেচনায় হলে ডাবলিং থাকছেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের নেতা জমাদিউল আওয়াল সুজাত। তিনি হল সংসদ নির্বাচনে সোহরাওয়ার্দী হলের স্বতন্ত্র হয়ে সহসভাপতি (ভিপি) পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

সুজাত বলেন, ‘অন্যদের রেজাল্ট নেই কিন্তু আসন আছে। আমার তো নিজের নামে কোনও আসন নেই। আমি থাকি এক বড় ভাইয়ের আসনে ডাবলিং। প্রাধ্যক্ষ বরাবর আবেদন করলে তিনি থাকার অনুমতি দেন। এই আসন আমার না, আরেকজনের।’

আলাওল হল

ইসলামি ছাত্রশিবিরের প্যানেল থেকে হল সংসদের সহসভাপতি (ভিপি) পদে নির্বাচন করছেন মোহাম্মদ আবু হাসান। কিন্তু তার নাম মেধাতালিকায় না থাকলেও পরে বিশেষ বিবেচনায় হলে থাকছেন। আবু হাসান বলেন, ‘হলের আসন বরাদ্দের সময় আমরা আবেদন করেছি, ওয়েটিংয়ে ছিলাম। পরে প্রশাসনকে আবেদন দিয়েছি, তার পরিপ্রেক্ষিতে আসন দিয়েছে। এখানে ভিপি প্রার্থী বাগসাসের রাকিবুল ইসলাম, তারাও আছেন আবার একজন অতি সাধারণ দরিদ্র ও দূরের তারাও আছেন।’

এ ছাড়া শিবির প্যানেলের আলাওল হল সংসদের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদপ্রার্থী আব্দুল্লাহ আল নোমান, সহসাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদপ্রার্থী মো. শোয়েব (তুষার), দফতর সম্পাদক পদে মুজাহিদুল তাহিন, সমাজসেবা, পরিবেশ ও মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক পদপ্রার্থী আশরাফুল ইসলাম ও স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক পদপ্রার্থী আব্দুল হামিদসহ একই প্যানেলের আরও অনেক পদপ্রার্থী মেধা তালিকায় নাম না থাকলেও বিশেষ বিবেচনায় হলে থাকছেন।

এদিকে, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের (বাগছাস) থেকে হল সংসদে স্বতন্ত্র থেকে সহভাপতি (ভিপি) পদে নির্বাচন করছেন রাকিবুল বাশর (রাকিব মাহমুদ)। তার নামেও হলে বিশেষ বিবেচনায় থাকার অভিযোগ উঠেছে।

হলে থাকার বিষয়ে রাকিবুল বশর বলেন, ‘আমি বিশেষ বিবেচনায় হলে থাকছি না। মেধার ভিত্তিতে হলে থাকছি। আমার প্রথমে আসন বরাদ্দের সময় মার্কশিটে একটা ভুল আসে। পরে সংশোধন করে প্রাধ্যক্ষের সঙ্গে দেখা করে হলে থাকার অনুমতি নিই।’

একই হলে আসন বরাদ্দে মেধাতালিকায় নাম নেই। তবে বিশেষ বিবেচনায় হলে থাকছেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের নেতা নুরনবী হাসান। তিনি হল সংসদ নির্বাচনে আলাওল হলের স্বতন্ত্র হয়ে সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তিনি বলেন, ‘আমার সিজিপিএ ঠিক ছিল, ছোট ভাইকে দিয়ে আবেদন করার কারণে তাতে ভুল হয়, যা পরে প্রশাসন বাতিল করে দেয়। পরে আমি কাগজপত্র ঠিক করে উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) ড. কামাল উদ্দিন স্যারের কাছে গেলে তার সুপারিশে আমি হলে উঠি।’

এ ছাড়া ছাত্রদল থেকে হল সংসদে সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদপ্রার্থী রিয়াদ আহমেদ এবং যোগাযোগ ও আবাসন বিষয়ক সম্পাদক পদপ্রার্থী মনিরুজ্জামান রাজসহ আরও অনেক নেতা-কর্মী বিশেষ সুবিধা নিয়ে হলে থাকছেন।

শাহ আমানত হল

শাহ আমানত হলে মেধাতালিকায় না থাকায় আসন বরাদ্দ পাননি ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের কেন্দ্রীয় সংসদে বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক পদপ্রার্থী ওজায়ের হোসেন। তিনি আমানত হলের ৪১৬নং রুমে থাকছেন।

ওজায়ের বলেন, ‘হলে আমার আসন নেই, আমি এমনি থাকি ওখানে। আর আমার সিজিপিএ হচ্ছে ২.৬৮, যেটা ভাইরাল হয়েছে সেটাই। কিন্তু আমার তিনটা সাপ্লিমেন্টারি ও চারটি ইমপ্রুভমেন্ট আছে, সেগুলোর ফল বের হলে ৩.৫ প্লাস ইনশাআল্লাহ থাকবে। তখন ফলাফল দিয়ে হল আসন বরাদ্দ পাবো।’

একই হলে আসন বরাদ্দ পাননি ছাত্রদল মনোনীত প্যানেলের কেন্দ্রীয় সংসদের পাঠাগার ও ক্যাফেটেরিয়া বিষয়ক সম্পাদক পদপ্রার্থী মো. জাবেদ। তার বাড়ি ক্যাম্পাসের পাশে হলেও তিনি বিশেষ বিবেচনায় হলে রুম নিয়ে থাকছেন।

জানতে চাইলে জাবেদ জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) ড. কামাল উদ্দিনের অনুমতি নিয়ে আমি শাহ আমানত হলে থাকছি, আমার সিজিপিএ ৩.৫৩ থাকলেও। আমাদের বিভাগের সমস্যা থাকার কারণে, হলে কাউকে আসন দেওয়া হয়নি। এ ছাড়া আমার বাড়ি ক্যাম্পাসের পাশে হলেও আমার পারিবারিক সদস্য বেশি হওয়ায় আমি কলেজজীবনেও কটেজে ছিলাম। যার কারণে আমাকে হলে আসন নিতে হয়েছে।’

আসন বরাদ্দ না পেয়ে শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ

আবেদন করেও আসন বরাদ্দ না পাওয়া শিক্ষার্থী মো. মাহমুদ বলেন, ‘আমি সোহরাওয়ার্দী হলে আসনের জন্য আবেদন করেছিলাম। কিন্তু হল প্রশাসন আমাকে আসন দেয়নি। আমার পরিবারের অবস্থা ভালো না। পরিবার থেকে আমার থাকা-খাওয়া খরচ দিতে বেগ পেতে হচ্ছে। আসন বরাদ্দে “বিশেষ বিবেচনা” বলতে মূলত কোনটাকে বোঝানো হয়েছে? যারা প্রকৃত অর্থে অর্থনৈতিকভাবে অসচ্ছল এবং অনেক দূর থেকে যারা পড়তে এসেছে তাদের বিশেষ বলা যেতে পারে। কিন্তু  ছাত্রসংগঠনের নেতাকর্মীরা কোন দিক থেকে বিশেষ হন? এর মাধ্যমে হল প্রশাসন ও ছাত্রসংগঠনের নেতারা আমাদের মতো নিরীহ সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে জুলুম করছে।’

আসন বরাদ্দের বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমাদের এখানে বিশেষ বরাদ্দের নীতিমালায় আছে, একটা হচ্ছে ডাবলিং আর একটা দরিদ্র, প্রতিবন্ধী ও দূরত্বে থাকা এই ধরনের কিছু শিক্ষার্থীর জন্য হল প্রাধ্যক্ষের কাছে কিছু আসন বরাদ্দ থাকে। তবে প্রত্যেকটিতে নীতিমালা মেনে দিতে হয়। উদাহরণ হিসেবে যারা ডাবলিং থাকে তাদের “বিশেষ আসন” বলা হয়। প্রতিবন্ধীরা যত জন আছে তাদের জন্য শতভাগ, তাদের এখানে বিশেষভাবে আনার দরকার নেই। তারা বৈধভাবে আসন পেয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আর যারা ডাবলিং তারা অনেকে বন্ধুদের সঙ্গে ওঠে। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী অনুযায়ী আসন সংখ্যা কম। আমরা সব সময় ডাবলিংয়ে উৎসাহিত করি ছাত্রদের। এটা আইনেই আছে আমাদের হল আসন বরাদ্দের নীতিমালায়। উৎসাহিত এজন্যই করি, একজনের সঙ্গে আরেকজন থাকলে বেশি পরিমাণ শিক্ষার্থীদের আমরা হলে রাখতে পারি। কেউ যদি তার বন্ধুকে পাশে রাখতে পারে, আমি প্রশাসন থেকে কেন তাকে মানা করবো। আমি তো চাইবো, তারা যত বেশি থাকুক। রাজনৈতিকভাবে যেটা বলা হচ্ছে, রাজনৈতিক ছেলেরা দশটা বৈধ আসন পেয়ে যদি আরও দশটা ছেলেকে রাখতে চায়, বিশ্ববিদ্যালয়ে আইনে আছে। যেটা ওরা রাখতে পারবে।’

সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক

আপনার জন্য নির্বাচিত
৫ আগস্টের পর আলেম ওলামারা সংখ্যালঘুদের হেফাজতে রাস্তায় নেমেছিল: চরমোনাই পীর

৫ আগস্টের পর আলেম ওলামারা সংখ্যালঘুদের হেফাজতে রাস্তায় নেমেছিল: চরমোনাই পীর

রবিবার দিনভর উত্তেজনা, পরদিন মাইকে ঘোষণা দিয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ

রবিবার দিনভর উত্তেজনা, পরদিন মাইকে ঘোষণা দিয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ

যুক্তরাষ্ট্রের বার্নিং ম্যান ফেস্টিভাল চলাকালে অজ্ঞাত ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার

যুক্তরাষ্ট্রের বার্নিং ম্যান ফেস্টিভাল চলাকালে অজ্ঞাত ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার

Pas De Bots Dans Chaque Tournoi 💳 Brest 🎉

Pas De Bots Dans Chaque Tournoi 💳 Brest 🎉

দিনাজপুরে ট্রাকচাপায় সন্তানসহ নিহত মা

দিনাজপুরে ট্রাকচাপায় সন্তানসহ নিহত মা

টঙ্গীতে গ্যাস লাইন বিস্ফোরণে ৪ মাস বয়সী শিশুর মৃত্যু, দগ্ধ বাবা-মা

টঙ্গীতে গ্যাস লাইন বিস্ফোরণে ৪ মাস বয়সী শিশুর মৃত্যু, দগ্ধ বাবা-মা

সাদাপাথর বাঁচাতে ৫ দফা সিদ্ধান্ত প্রশাসনের

সাদাপাথর বাঁচাতে ৫ দফা সিদ্ধান্ত প্রশাসনের

বাগেরহাটে দ্বিতীয় দিনের মত নির্বাচন অফিসের সামনে অবস্থান কর্মসূচি

বাগেরহাটে দ্বিতীয় দিনের মত নির্বাচন অফিসের সামনে অবস্থান কর্মসূচি

ময়মনসিংহে ৫ ঘণ্টা সড়ক অবরোধ শিক্ষার্থীদের, চলাচলে ভোগান্তি

ময়মনসিংহে ৫ ঘণ্টা সড়ক অবরোধ শিক্ষার্থীদের, চলাচলে ভোগান্তি

দক্ষিণ-পশ্চিম ইরানে ইসরাইলের হামলা | দৈনিক নয়া দিগন্ত

দক্ষিণ-পশ্চিম ইরানে ইসরাইলের হামলা | দৈনিক নয়া দিগন্ত