বগুড়ার শিবগঞ্জে গ্রেফতার করার পর পুলিশের মোটরসাইকেল থেকে হাতকড়াসহ আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান রিজ্জাকুল ইসলাম রাজুকে ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার (৪ অক্টোবর) রাতে উপজেলার চক ভোলাখাঁ এলাকায় বিপুল সংখ্যক নারী, পুরুষ ও স্বজনরা পুলিশকে ঘেরাও করে ধস্তাধস্তির পর তাকে ছিনিয়ে নেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, রিজ্জাকুল ইসলাম রাজু বগুড়া শিবগঞ্জ সদরের চক ভোলাখাঁ এলাকার বদর উদ্দিন বদরের ছেলে। তিনি শিবগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও শিবগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান।
উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতিও ছিলেন। গত বছরের ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর রাজুর বিরুদ্ধে হত্যাসহ ১২টি মামলা হয়। এরপর থেকে তিনি পালিয়ে ছিলেন।
শনিবার রাতে নিজ গ্রামে বাড়ির পাশে মামাতো ভাই শাহ আলমের বিয়ের অনুষ্ঠানে অংশ নিতে আসেন। গোপনে এমন খবর পেয়ে শিবগঞ্জ থানার এসআই আল মামুন সাদা পোশাকে মোটরসাইকেলে এক কনস্টেবলকে নিয়ে বাড়িতে অভিযান চালান। এক পর্যায়ে বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতারের পর এক হাতে হাতকড়া পড়ানো হয়। তাকে মোটরসাইকেলে তুলে থানায় আনার চেষ্টা করলে বিপুল সংখ্যক নারী, পুরুষ ও আত্মীয়-স্বজন মোটরসাইকেল ঘিরে ফেলেন।
এ সময় পুলিশের সাথে রাজুর স্বজনদের ধস্তাধস্তি হয়। এরপর তারা হাতকড়া পরিহিত অবস্থায় রাজুকে ছিনিয়ে নিয়ে যান।
শিবগঞ্জ থানার ওসি শাহীনুজ্জামান শাহীন জানান, গ্রেফতারের পর আত্মীয়-স্বজনরা মোটরসাইকেল ঘিরে ফেলেন। এরপর পুলিশকে ধাক্কা দিয়ে এক হাতে থাকা হাতকড়াসহ আসামি রিজ্জাকুল ইসলাম রাজুকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় পুলিশের কোনও গাফিলতি আছে কি না তা তদন্ত চলছে।
তিনি আরও জানান, রাজুর বিরুদ্ধে হত্যা, নাশকতা, বিস্ফোরকদ্রব্য, হামলা, ভাঙচুরসহ রাজনৈতিক ১২টি মামলা রয়েছে। ঘটনার পর থেকে তাকে গ্রেফতারে পুলিশের একাধিক টিম অভিযান শুরু করেছে। রবিবার সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত তাকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি।