চট্টগ্রামের মীরসরাই উপজেলার প্রবাসী হারুন হত্যা মামলার প্রধান আসামি ও নিহতের ভাগ্নে শাহিন আলমকে (৩০) গ্রেফতার করেছে র্যাব-৭ চট্টগ্রাম। শনিবার (৪ অক্টোবর) বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে নওগাঁ জেলার পত্নীতলা থানার মহেশপুর কদমকুড়ি এলাকা থেকে র্যাব-৭ ও র্যাব-৫-এর যৌথ অভিযানে তাকে আটক করা হয়।
রবিবার র্যাব-৭-এর গণমাধ্যম শাখার সহকারী পুলিশ সুপার এআরএম মোজাফফর হোসেন জানান, প্রবাসী হারুন হত্যা মামলার পর থেকে গ্রেফতার এড়াতে শাহিন আত্মগোপনে ছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শাহিনের অবস্থান শনাক্ত করে অভিযান চালানো হয়। গ্রেফতার আসামিকে মীরসরাই থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
জানা গেছে, নিহত হারুন গত ৩০ এপ্রিল তিন মাসের ছুটিতে বিদেশ থেকে দেশে ফেরেন। দীর্ঘদিন ধরে পারিবারিক ও পৈত্রিক সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ চলছিল তার পরিবারে। গত ৯ জুলাই বিকালে বোনের ঘরের পানি তার উঠানে পড়া নিয়ে ভাগ্নে শাহিন আলমের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে শাহিন ও তার সহযোগীরা দেশি ধারালো অস্ত্র ও লোহার রড দিয়ে হারুনকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর জখম করে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে মীরসরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার পর নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে মীরসরাই থানায় তিন জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা (মামলা নং ০৯) দায়ের করেন।
মীরসরাই থানার ওসি আতিকুর রহমান মজুমদার বলেন, ‘র্যাবের সহযোগিতায় হত্যা মামলার প্রধান আসামি শাহিন আলমকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মামলার অন্যান্য পলাতক আসামিদেরও গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’
নিহত হারুনের চাচাতো ভাই আনোয়ার বলেন, ‘শাহিনের গ্রেফতারে এলাকায় স্বস্তি ফিরেছে। আমরা তার সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করছি। বাকি আসামিদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।’