কক্সবাজারের টেকনাফে নিখোঁজের একদিন পর পাঁচ বছরের এক শিশুর লাশ পুকুর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। পরিবারের দাবি, কানে থাকা সোনার দুল ছিনিয়ে নিতে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়।
শিশুটির নাম নুসাইবা নুসরাত। সে হ্নীলা ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের হোয়াকিয়াপাড়ার বাসিন্দা ইঞ্জিনিয়ার মামুনুর রশীদের মেয়ে। এ ঘটনায় ছয় জন আটক করা হয়েছে।
রবিবার (০৫ অক্টোবর) দুপুর ১টার দিকে হ্নীলা ইউনিয়নের পূর্ব পানখালীর দিলু মেম্বারের বাড়ির পাশের একটি পুকুরে শিশুর লাশ দেখতে পান স্থানীয় লোকজন। পরে এলাকাবাসী লাশটি উদ্ধার করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। এর আগে গতকাল শনিবার দুপুরে বাড়ির উঠানে খেলতে বের হয়ে নিখোঁজ হয়েছিল শিশুটি।
পরিবারের দাবি, তার কানে থাকা সোনার দুল পাওয়া যায়নি এবং মুখে স্কচটেপ লাগানোর দাগ ছিল। কানের দুল নেওয়ার জন্যই শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।
টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জায়েদ মো. নাজমুন নূর বলেন, ‘শনিবার দুপুরে শিশুটি নিখোঁজ হয়। অনেক খোঁজাখুঁজির পরও পাওয়া যায়নি। রবিবার দুপুরে তার লাশ পুকুরে ভাসমান অবস্থায় পাওয়া যায়। সেটি ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে। এ ঘটনায় ছয় জনকে আটক করা হয়েছে। ঘটনাটি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করছি আমরা।’