আবার বাড়তে শুরু করেছে পেঁয়াজের বাজার দর। গত ১০ দিনের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম মণ প্রতি বেড়েছে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা। বিক্রেতারা বলছেন, পূজার পর বাজারে সরবরাহ কিছুটা কমে যাওয়ার এমনটি হয়েছে। এদিকে পাইকারি বাজারে দর বেড়ে যাওয়ায় ভোক্তা পর্যায়ে এর প্রভাব পড়েছে।
ফরিদপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক শাহাদুজ্জামান জানান, পেঁয়াজ উৎপাদনে দ্বিতীয় বৃহত্তর জেলা ফরিদপুর। মৌসুমে এ জেলায় আবাদ হয়েছিল ৩৮ হাজার হেক্টর জমিতে, যা থেকে উৎপাদন হয় ৬ লাখ ৭৭ হাজার মেট্রিক টন। যদিও পেঁয়াজ তোলার মৌসুমের সময় চাষি পর্যায়ে এক হাজার থেকে ১৫০০ টাকা মণপ্রতি দর পেয়ে ছিল। এতে ক্ষুব্ধ ছিলেন পেঁয়াজ চাষিরা, পেঁয়াজ উৎপাদনের ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় চাষি পর্যায়ে ২২০০ থেকে ২৫০০ টাকার দর পেলে তারা লাভবান হয়।
তিনি বলেন, সাম্প্রতিক সময় যে দর যাচ্ছে তাতে চাষি পর্যায়ে বেশ ভালোই লাভ পাচ্ছে।
দুর্গাপূজার পরে কয়েক দিনের ব্যবধানে দুই হাজার টাকার পেঁয়াজ পাইকারি বিক্রয় হচ্ছে ২২০০ থেকে ২৬০০ টাকা দরে। যা খুচরা বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৭৫ টাকা কেজি।
পেঁয়াজের এই দর বৃদ্ধির কারণ হিসাবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাজারে চাহিদার অনুপাতে সরবরাহ করে কমে যাওয়া।
মঙ্গলবার সকালে ফরিদপুরের কানাইপুরে নালারমোড় বাজারে পেঁয়াজ বেচতে আসা সালথার আটঘর ইউনিয়নের চয়ন শেখ। তিনি ১৭ মণ পেঁয়াজ নিয়ে বাজারে এসেছেন। তিনি জানান, ২৫০০ টাকা দরে বিক্রি করতে পেরেছি পেঁয়াজ, এতে আমি খুশি।
একইভাবে জানালেন জাকির মোল্লা, আলামিন মোল্লাসহ বেশ কয়েকজন। এই বাজারে খুব ভোর থেকে পেঁয়াজ চাষিরা তাদের ঘরে থাকা পেঁয়াজ কেউ ধামায় করে কেউ ভ্যানে করে কেউবা নছিমন করে বস্তা ভরে এই হাটে পেঁয়াজ নিয়ে আসছেন।
হাটটিতে প্রচুর সংখ্যক পেঁয়াজ ব্যবসায়ী থাকায় চাষিরা ভালো করে যাচাই-বাছাই করে বিক্রি করতে পারছেন তার উৎপাদিত কৃষি পণ্যটি। আর ব্যবসায়ীরা এখান থেকে পেঁয়াজ কিনে সারা দেশে ছড়িয়ে দিচ্ছেন।
বাজারে পেঁয়াজ বিক্রেতা বিল্লাল মাতব্বর বলেন, কানাইপুরের নালার মোড়ে পেঁয়াজের বাজার খুবই নামকরা, প্রতি হাটে চাষিরা নিজেই পেঁয়াজ নিয়ে আসে বাজারে। এখানকার পেঁয়াজের চাহিদা দেশজুড়েই রয়েছে। আমরা বিশেষ করে চট্টগ্রাম, ঢাকা, সিলেটসহ বিভিন্ন জেলায় পেঁয়াজ সরবরাহ করি।