মানিকগঞ্জে সামায়েল হাসদা (৩০) নামে এক এনজিও কর্মীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) দুপুরে শহরের পোড়রা এলাকার প্রফেসরস হাউস নামের বাসার নিচতলার কক্ষ থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
সামায়েল হাসদা রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার চান্দলাই গ্রামের সরকার হাসদার ছেলে। তিনি বেসরকারি গবেষণামূলক প্রতিষ্ঠান বারসিকের সহযোগী কর্মসূচি কর্মকর্তা পদে চাকরি করতেন।
পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পোড়রা এলাকার ওই বাসা ভাড়া নিয়ে একাই থাকতেন সামায়েল। সোমবার রাত ১০টার দিকে অফিস থেকে বাসায় ফেরেন। মঙ্গলবার সকালে কর্মস্থলে যাননি। বাসার অদূরে বারসিকের কার্যালয়। বেলা ১১টা বাজলেও কর্মস্থলে না যাওয়ায় তার সহকর্মী কর্মসূচি কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম ওই বাসায় যান। এ সময় ভেতর থেকে দরজা বন্ধ থাকায় নজরুল বাসার মালিককে ডাকেন। বাসার মালিক সুলতান উদ্দিন সরকারি জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ কল করেন। খবর পেয়ে দুপুর ১টার দিকে সদর থানা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ওই বাসায় যান। এরপর কক্ষের দরজা ভেঙে ভেতরে খাটের ওপর সামায়েলের লাশ পড়ে থাকতে দেখেন ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ সদস্যরা।
বেলা ২টার দিকে সরেজমিনে দেখা গেছে, খাটের ওপর ওই যুবকের লাশ পড়ে আছে। সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আশরাফুর রহমান লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করছেন। লাশ উদ্ধারের খবর পেয়ে আশপাশের লোকজন ওই বাসায় ভিড় করেছেন।
এ সময় পাশে ছিলেন বাসার মালিক সুলতান উদ্দিন। তিনি বলেন, ‘গত দুই বছর ধরে বাসার নিচতলার একটি কক্ষ ভাড়া নিয়ে সামায়েল একাই থাকতেন। সোমবার রাত ১০টার দিকে বাসায় এসেছিলেন।’
বারসিকের কর্মসূচি কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বলেন, ‘সামায়েলের গ্যাস্ট্রিকে আক্রান্ত ছিলেন। কর্মস্থলে কাজের প্রতি খুবই আন্তরিক ছিলেন। কীভাবে তার মৃত্যু হয়েছে, তা পুলিশ তদন্ত করলে জানা যাবে।’
মানিকগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম আমান উল্লাহ বলেন, ‘ওই কক্ষে টেবিলের ওপরে গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ পাওয়া গেছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মানিকগঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে।’