কুমিল্লার মেঘনা উপজেলায় নৌপথে চাঁদাবাজির সময় বাধা দিলে পুলিশের ওপর টেঁটা নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। এতে তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। তারা হলেন- এএসআই মাকসুদ, কনস্টেবল সোহাগ ও সাইদুর। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। একজন গুরুতর আহত হওয়ায় তাকে মেঘনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। তারা সেখানে চিকিৎসাধীন।
মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার চালিভাঙ্গা ইউনিয়নের নলচর গ্রামের মেঘনা নদীতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত দুই যুবককে গ্রেফতার করেছে চালিভাঙ্গা নৌপুলিশ।
গ্রেফতাররা হলেন- চালিভাঙ্গা ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক নলচর গ্রামের আব্দুল বারেকের ছেলে বিএনপি নেতা রানা (২৭) ও নলচর গ্রামের রুফ মিয়ার ছেলে ছাত্রদল নেতা সাজ্জাদ হোসেন (১৮)।
এর আগে সোমবার বিকালে মেঘনার কাঁঠালিয়া নদী থেকে চাঁদাবাজির সময় কুমিল্লার তিতাস উপজেলার সরস্বতী চর গ্রামের ইদ্রিস আলীর ছেলে আক্তার হোসেনকে (৪৫) গ্রেফতার করে নৌপুলিশ। আক্তার হোসেন নৌপথের শীর্ষ চাঁদাবাজ মামুনের চাচাতো ভাই।
নৌপুলিশ জানায়, সকাল ৯টার দিকে এক সুকানি ফোন করে জানান- কিছু চাঁদাবাজ তাদের মারধর করছে টাকার জন্য। খবর পেয়ে নৌপুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে যায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে চাঁদাবাজরা তাদের লক্ষ্য করে টেঁটা নিক্ষেপ করে। এতে তিন পুলিশ সদস্য আহত হন।
বাল্কহেডের এক সুকানি অভিযোগ করে বলেন, এদিক দিয়ে আসা-যাওয়া করতে হলে প্রতিনিয়ত চাঁদাবাজদের কবলে পড়তে হয়। তারা ৫-১০ হাজার টাকা পর্যন্ত চাঁদা দাবি করে। নৌপুলিশ দেখলে তারা আসে না। কিন্তু যখনই সুযোগ পায় তখন নৌকায় করে অস্ত্র নিয়ে আমাদের কাছে চাঁদা দাবি করে। না দিলে মারধর করে। এই চাঁদাবাজরা আজ নৌপুলিশকেও হামলা ও টেঁটাবিদ্ধ করলো।
চালিভাঙ্গা নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আলমগীর হোসাইন বলেন, আমরা নৌপথে চাঁদাবাজির খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে পৌঁছালে চাঁদাবাজরা আমাদের লক্ষ্য করে টেঁটা ছুড়ে মারে। আত্মরক্ষার্থে আমরা ২১ রাউন্ড গুলি ছুড়ি। এ সময় আমাদের তিন পুলিশ সদস্য আহত হন। এরপর ধাওয়া দিয়ে দুই জনকে আটক করতে সক্ষম হই। আটক দুই যুবককে আইনি প্রক্রিয়া শেষে আদালতে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। এ ঘটনায় দুটি মামলা প্রক্রিয়াধীন। একটি বিশেষ ক্ষমতা আইন ও আরেকটি পুলিশ হামলা করে জখমের মামলা।