Swadhin News Logo
বৃহস্পতিবার , ৯ অক্টোবর ২০২৫ | ৩১শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. best
  2. cassinoBR
  3. আন্তর্জাতিক
  4. কৃষি ও প্রকৃতি
  5. ক্যাম্পাস
  6. খেলাধুলা
  7. চাকরি
  8. জাতীয়
  9. জোকস
  10. তথ্যপ্রযুক্তি
  11. দেশজুড়ে
  12. ধর্ম
  13. নারী ও শিশু
  14. প্রবাস
  15. বই থেকে

স্ত্রী-সন্তানের হাতে যে কারণে হত্যার শিকার হন নয়ন

প্রতিবেদক
Nirob
অক্টোবর ৯, ২০২৫ ১২:২৩ পূর্বাহ্ণ
স্ত্রী-সন্তানের হাতে যে কারণে হত্যার শিকার হন নয়ন

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় দুই পা বিচ্ছিন্ন অবস্থায় প্লাস্টিকের ড্রামের ভেতর থেকে মো. নয়নের (৪৯) লাশ উদ্ধারের ঘটনার বিস্তারিত জানিয়েছে পুলিশ। নয়নের স্ত্রী সাবিনা আক্তার ও তার প্রেমিক রাসেল মিলে তাকে হত্যা করে লাশ গুম করেন। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে সাত জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। 

বুধবার (৮ অক্টোবর) বিকালে নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- নিহতের দ্বিতীয় স্ত্রী সাবিনা আক্তার (৪০), তার দুই মেয়ে সুমনা আক্তার (২০), সানজিদা আক্তার (১৮), সাবিনার প্রেমিক রাসেল ওরফে ঠোঙ্গা রাসেল (৪৫), তার সহযোগী চয়ন (৩৮), মানিক (৩২) ও জুয়েল (৩০)। এর মধ্যে সাবিনা ও দুই মেয়ে এবং চয়নকে সিদ্ধিরগঞ্জের জালকুড়ি এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। মানিককে ফতুল্লার পিলকুনির যে স্থান থেকে নয়নের খণ্ডিত পা উদ্ধার করা হয়েছে সেখান থেকে গ্রেফতার করা হয়। জুয়েলকে ফতুল্লার নিজ এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। পরে সাবিনা ও রাসেলের দেওয়া তথ্যমতে, মঙ্গলবার রাতেই পিলকুনি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে হামিদা বেগমের বাড়ির সামনে থেকে নয়নের খণ্ডিত দুটি পা উদ্ধার করা হয়।  

সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার বলেন, ‘নয়ন ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাচালক ছিলেন। পাশাপাশি মাদক ব্যবসায় জড়িত ছিলেন। তার দুই স্ত্রী। দ্বিতীয় স্ত্রীর আগের সংসারে দুই মেয়ে আছে। পাঁচ-ছয় বছর আগে সাবিনাকে বিয়ে করেন। তিন বছর আগে নয়ন একটি মাদক মামলায় কারাগারে যান। এ সুযোগে সাবিনার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে রাসেলের। গত ১৯ সেপ্টেম্বর নয়ন জামিনে মুক্তি পান। পরে সাবিনার বাড়িতে গিয়ে রাসেলের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কের কথা জানতে পারেন। এ নিয়ে সাবিনাকে জিজ্ঞাসা করলে তাদের বিরোধ দেখা দেয়। তখন হত্যার পরিকল্পনা করেন সাবিনা ও রাসেল। পরিকল্পনা অনুযায়ী ৫ অক্টোবর দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সাবিনার ভাড়া বাসায় যান রাসেল। এ নিয়ে নয়ন ও রাসেলের বাগবিতণ্ডা হয়। তখন বাসায় সাবিনা ও দুই মেয়ে ছিলেন। একপর্যায়ে সাবিনা ও রাসেল বাসার একটি কক্ষে নয়নকে আটকে ফেলেন। এ সময় লোহার রড দিয়ে মাথায় আঘাত করে ধারালো ছোরা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা নিশ্চিত করেন তারা।’ 

পুলিশ সুপার আরও বলেন, ‘ঘটনার পরদিন তাদের সহযোগী চয়ন, জুয়েল, নোমান, সুমাইয়া, সানজিদা ও সামিরসহ (পলাতক আসামি) অজ্ঞাত আরও ২-৩ জন মিলে হত্যার ঘটনা ধামাচাপা দিতে নিহতের দুটি পা বিচ্ছিন্ন করে ফেলেন। পরে পলিথিনে মুড়িয়ে ড্রামে ভরে ফতুল্লার শিয়াচর এলাকার তক্কার মাঠ সংলগ্ন মাওয়া সুপার মার্কেটের পশ্চিম পাশের ফাঁকা জমিতে ফেলে দেন। ৭ অক্টোবর বেলা সোয়া ২টার দিকে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত সাবিনা, রাসেল, চয়ন, জুয়েল, নোমান, সুমাইয়া ও সানজিদাকে আটক করা হয়। তারা সবাই হত্যার কথা স্বীকার করেন। তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, নয়নের বিচ্ছিন্ন দুটি পাসহ নানা আলামত উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের বাবার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ৮ অক্টোবর ফতুল্লা থানায় মামলাকরা হয়েছে। আর আসামিদের রিমান্ড আবেদন করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’

সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক