রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার কলিপুর এলাকায় গ্যাসের বেলুন বিস্ফোরণে সাত জন গুরুতর দগ্ধ হয়েছেন। শুক্রবার (১০ অক্টোবর) বেলা সোয়া ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। দগ্ধদের মধ্যে পাঁচ জনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
শুক্রবার (১০ অক্টোবর) রাত ৮টার দিকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের মুখপাত্র ও জরুরি বিভাগের ইনচার্জ ডা. শংকর কে বিশ্বাস জানান, দুপুরে আহত সবাইকে বার্ন ইউনিটের ২৯ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। প্রত্যেকের শরীরের বিভিন্ন অংশ দগ্ধ হয়েছে। তারা চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তবে তাদের শারীরিক অবস্থা বর্তমানে স্থিতিশীল রয়েছে।
দগ্ধরা হলেন– গোদাগাড়ী উপজেলার সহাপানিয়া গ্রামের জলাশ্বরী (৩৫), মাটিকাটা গ্রামের রাজিকুল (৬৫), নওগাঁ জেলার নিয়ামতপুর উপজেলার হাজরাপুকুর গ্রামের একরামুল (৫৪), একই উপজেলার পুড়াপাড়া গ্রামের রনি (২৫) এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার সোনামসজিদ এলাকার হামিম (২০)।
এ ছাড়া তানোর উপজেলার বৈদ্যপুর গ্রামের সখিনা (৩৫) এবং গোদাগাড়ী পৌরসভার ফাজিলুপুর গ্রামের রায়হান (৩২) প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরে গেছেন বলে জানিয়েছেন গোদাগাড়ী ৩১ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের কর্তব্যরত সিনিয়র নার্স আব্দুস সালাম।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গোদাগাড়ী থেকে আমনুরাগামী একটি অটোরিকশার পেছনে প্রায় ৪০টি গ্যাসের বেলুন বেঁধে নেওয়া হচ্ছিল। পথে কলিপুর এলাকায় পৌঁছালে হঠাৎ বেলুনগুলো বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয়। এতে অটোরিকশার ভেতরে থাকা যাত্রীরা আগুনে দগ্ধ হন।
দুর্ঘটনার পর স্থানীয়রা দগ্ধদের উদ্ধার করে প্রথমে গোদাগাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। পরে তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এলাকায় অনেক সময় উৎসব বা বেচাকেনার উদ্দেশ্যে এভাবে গ্যাসের বেলুন বহন করা হয়, কিন্তু নিরাপত্তা ব্যবস্থা না থাকায় ঝুঁকি থেকে যায়। তারা বলেন, প্রশাসনের নজরদারি বাড়ানো প্রয়োজন, যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের দুর্ঘটনা আর না ঘটে।
গোদাগাড়ী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রহুল আমিন জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, অটোরিকশায় অতিরিক্ত গ্যাসের বেলুন বহনের সময় ঘর্ষণ বা আগুনের স্ফুলিঙ্গ থেকেই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে থাকতে পারে।