ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় বাসের চাপায় অটোরিকশার দুই যাত্রী নিহত হয়েছেন। এক শিশুসহ আহত হয়েছেন আরও চার জন।
সোমবার (১৩ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের আনারপুরা বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন ইউ-টার্নে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন– বিল্লাল হোসেন (৬৫) ও তার স্ত্রী আলনা বেগম (৫০)। তারা কুমিল্লার মেঘনা উপজেলার দড়ি লুটেরচর গ্রামের বাসিন্দা।
আহতরা হলেন– নিহতদের ছেলের বউ অঞ্জনা (২৩), নাতনি আনিশা (৪) ও অটোরিকশাচালক অজ্ঞাত (৪০)।
খবর নিয়ে জানা যায়, মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় আনারপুরা গ্রামে নিহত দম্পতি পরিবারের সদস্যদের নিয়ে জ্বরে আক্রান্ত নাতনিকে দেখতে যাচ্ছিলেন। কুমিল্লার মেঘনা থেকে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় করে তারা যাচ্ছিলেন। পথে আনারপুরা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ইউ-টার্ন নেওয়ার সময় মতলব থেকে ঢাকাগামী মতলব পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস সেটিকে ধাক্কা দিলে দুমড়ে-মুচড়ে যায়। এ সময় অটোরিকশাচালক চালক (৩৫), বিল্লাল হোসেন ও আলনা বেগমসহ ৫ জন গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠান। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় বিলাল, আলনা বেগম এবং তাদের ছেলের বউ অঞ্জনাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন চিকিৎসক।
ঢাকায় নেওয়ার পথে আলনা বেগম ও বিল্লাল হোসেন মারা যায়। স্থানীয়রা ঘাতক বাসচালক কাউসার হোসেনকে (২৫) আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছ।
নিহত আলনার চাচা নজরুল ইসলাম বলেন, ‘হাসপাতালে নেওয়ার পথে দুজন মারা গেছে। বাকিদের অবস্থাও ভালো নয়। অসুস্থ নাতনিকে দেখতে গিয়ে তারা লাশ হয়ে ফিরলো।’
বিষয়টি সম্পর্কে গজারিয়া ভবেরচর হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ শওকত হোসেন বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। দুর্ঘটনাকবলিত বাস এবং অটোরিকশাটি পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। ঘাতক বাসটির চালক কাউসার হোসেনকে আটক করে স্থানীয়রা আমাদের কাছে সোপর্দ করেছে। আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।’