গাজীপুরের কাপাসিয়ায় একটি পেট্রলপাম্পে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানের সময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের গাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় মামলা হয়েছে। সোমবার রাতে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের পক্ষ থেকে আট জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ১০০ থেকে ১৫০ জনকে আসামি করে কাপাসিয়া থানায় মামলাটি করা হয়। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এর আগে সোমবার (১৩ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে গাজীপুর জেলা প্রশাসনের একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে কাপাসিয়ার বারিষাব ইউনিয়নের নয়ানগর গ্রামের আমরাইদ-গিয়ায়পুর সড়কে ‘মেসার্স জমজম ট্রেডার্স’ পেট্রলপাম্পে অভিযান চালানো হয়। তখন স্থানীয় লোকজন হামলা করেন।
কাপাসিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আব্দুর রব বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’
পদ্মা অয়েল কোম্পানির ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) নির্দেশে বিভিন্ন পেট্রলপাম্পে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। এর অংশ হিসেবে মেসার্স জমজম ট্রেডার্স পেট্রলপাম্পে অভিযান চালানো হয়। এ সময় ‘ভুয়া ম্যাজিস্ট্রেট’ ও ‘ভুয়া পুলিশ’ স্লোগান দিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের গাড়িতে হামলা চালায় একদল লোক। তারা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে ম্যাজিস্ট্রেটের গাড়িতে ভাঙচুর চালায়। খবর পেয়ে কাপাসিয়া থানা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।’
পুলিশ জানায়, ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার সময় ওই পাম্প থেকে ৫০ লিটার পেট্রল জব্দ করা হয়। পাম্প মালিককে সঠিক কাগজপত্র ১০ দিনের মধ্যে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
এ বিষয়ে জানতে মেসার্স জমজম ট্রেডার্স পেট্রলপাম্পের মালিক মোতাহার হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
কাপাসিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আব্দুর রব বলেন, ‘ম্যাজিস্ট্রেটের গাড়ি ভাঙচুরের সময় ঘটনাস্থল থেকে ফারুক মিয়া নামে এক জনকে আটক করা হয়েছিল। এ ঘটনায় রাতেই বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের এক কর্মকর্তা বাদী হয়ে মামলা করেন। ফারুক মিয়াকে ওই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে মঙ্গলবার। এ ঘটনায় জড়িত অন্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।’