খুলনায় সাত দফা দাবি বাস্তবায়নের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে পাটকল ও শিল্পাঞ্চল পুনরুদ্ধার কমিটি। সংবাদ সম্মেলনে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন, বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশনের (বিজেএমসি) চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. কবির উদ্দিন সিকদার এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবদুর রউফকে অপসারণের দাবি জানো হয়। বুধবার (১৫ অক্টোবর) দুপুর ১২টায় খুলনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানান কমিটির নেতারা।
সংগঠনের অন্যান্য দাবিগুলো হলো- অবিলম্বে শেখ হাসিনা সরকারের আমলে জারি করা প্রজ্ঞাপন ও লিজ প্রথা বাতিলসহ রাষ্ট্রায়ত্ত সব পাটকল চালু; প্রহসনমূলক টেন্ডারের নামে পাটকলের মূল্যবান যন্ত্রাংশ পাচার ও রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংসের পাঁয়তারা বন্ধ; খালিশপুর, দৌলতপুর, জাতীয়, কেএফডি, আরআর জুটমিলসহ ২৬টি পাটকল বন্ধের পর থেকে এ পর্যন্ত সব পাওনা, বকেয়া বেতন-ভাতা অবিলম্বে প্রদান, আগের পাটকল রক্ষা আন্দোলনের প্রত্যেক শহীদ পরিবারকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ এবং নেতাদের নামে হওয়া সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, সব বেসরকারি পাটকল শ্রমিকের ন্যূনতম মজুরি ৫৬০ টাকা করা এবং পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন-২০১০ অবিলম্বে বাস্তবায়ন করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে পাটকল ও শিল্পাঞ্চল পুনরুদ্ধার কমিটির সংগঠক শামস শারফিন সামন বলেন, ‘একজন পাটকলের মালিককে পাট মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা করার কারণে কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট তৈরি হয়েছে। কোনও কিছুর তোয়াক্কা না করেই বেপরোয়াভাবে চালানো হচ্ছে মন্ত্রণালয়টি। এমনকি দুর্নীতির সংজ্ঞাকেও তোয়াক্কা করছেন না পাট উপদেষ্টা। ক্ষমতার অপব্যবহার করে সরকারি পাটকলগুলোর অনেক বড় অংশ নিজের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের আওতায় নিচ্ছেন তিনি। এই অপরাধের বিচার করতে হবে। প্রয়োজনে অবিলম্বে পাট ব্যবসায়ী পাট উপদেষ্টাকে অপসারণ করে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।’
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বেসরকারি পাটকলগুলোর শ্রমিকরা দুর্বিসহ জীবনযাপন করছেন। ২৬০ টাকা মজুরিতে কাজ করা শ্রমিকদের পক্ষে তিন বেলা খাবার জোগানো অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে। পাটের মতো রফতানি খাতে জাতীয় মজুরি কমিশন ঘোষিত ন্যূনতম মজুরি বাস্তবায়ন না করে ২৬০ টাকা মজুরি দেওয়া রীতিমতো অপরাধ। অবিলম্বে এই মজুরি বঞ্চনার অবসান ঘটিয়ে ন্যূনতম মজুরি ৫৬০ টাকা করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- সংগঠনের সংগঠক জাকির হোসেন, আলমগীর হোসেনসহ বিভিন্ন জুট মিলের শ্রমিকরা।