চট্টগ্রাম রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল (সিইপিজেড) এলাকায় শ্রমিক বিক্ষোভের জেরে প্যাসিফিক গ্রুপের আটটি কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) রাতে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়। শনিবার (১৮ অক্টোবর) থেকে সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।
কারখানাগুলো হলো- প্যাসিফিক জিন্স-১, প্যাসিফিক জিন্স-২, প্যাসিফিক অ্যাটায়ারস, প্যাসিফিক অ্যাক্সেসরিজ, প্যাসিফিক ওয়ারকওয়্যারস, ইউনিভারসেল জিন্স, এইচটি ফ্যাশন ও জিন্স ২০০০।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ১৪ অক্টোবর থেকে কিছু শ্রমিক বেআইনিভাবে কর্মবিরতি পালন করেন। বারবার নির্দেশনা দেওয়ার পরও তারা কাজে ফেরেননি। বরং ১৫ ও ১৬ অক্টোবরও উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করে এবং নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষ, ভাঙচুর ও কর্মকর্তাদের ওপর হামলা চালান।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, শ্রমিকদের এ ধরনের আচরণ ‘বাংলাদেশ ইপিজেড শ্রম আইন ২০১৯’ অনুযায়ী বেআইনি ধর্মঘট হিসেবে গণ্য হয়। এ অবস্থায় কারখানার কার্যক্রম চালু রাখা অসম্ভব হয়ে পড়ায় কর্তৃপক্ষ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এ প্রসঙ্গে প্যাসিফিক গ্রুপের চিফ অপারেটিং অফিসার সুহৃদ চৌধুরী জানান, বৃহস্পতিবার শ্রমিক বিক্ষোভের পর সাময়িক ছুটি ঘোষণা করা হয়েছিল। পরে রাতে মালিকপক্ষ অনির্দিষ্টকালের জন্য কারখানা বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়।
জানা গেছে, গত ৯ অক্টোবর প্যাসিফিক গ্রুপের শ্রমিকরা পুলিশের হয়রানির অভিযোগে বিক্ষোভ করেন। এরপর বুধবার (১৪ অক্টোবর) থেকে শুরু হয় আবার বিক্ষোভ। বৃহস্পতিবার ইপিজেডের বিভিন্ন সেক্টরে প্যাসিফিক গ্রুপের কারখানার সামনে বিক্ষোভ করেন শ্রমিকরা। এ সময় উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের ওপর হামলার অভিযোগও ওঠে। এর আগে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ২২ দফা দাবিতে প্যাসিফিক ক্যাজুয়াল লিমিটেডের শ্রমিকরা আন্দোলনে নামলে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। তখন দুটি ইউনিট বন্ধ করে দেয় মালিকপক্ষ। পরে শ্রমিকরা মুচলেকা দিয়ে কাজে যোগ দেন।
এ প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম শিল্প পুলিশের পুলিশ সুপার আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বলেন, ‘আমরা কারখানা বন্ধের চিঠি পেয়েছি। কারখানায় শ্রমিকদের মধ্যে কিছু অভ্যন্তরীণ ঝামেলা আছে। বাইরে থেকে শ্রমিকদের কোনও ইন্ধন দেওয়া হচ্ছে কিনা, সেটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’

















