দেশের প্রধান সমুদ্রবন্দরে ভারী গাড়ি প্রবেশের ফি ৫৭ থেকে বাড়িয়ে ২৩০ টাকা করায় কনটেইনার পরিবহন বন্ধ রেখেছে প্রাইম মুভার, ট্রেইলর, ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান চালক-মালিকরা। এ কারণে চট্টগ্রাম বন্দরে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। প্রাইম মুভার, ট্রেইলর মালিকরা নিজেদের গাড়ি চালাচ্ছেন না ১৫ অক্টোবর (বুধবার) থেকে।
একই দাবিতে কর্মসূচি ঘোষণা করেছে আন্তঃজেলা ট্রাক মালিক সমিতি। সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টরা রবিবার (১৯ অক্টোবর) থেকে পালন করছেন চার ঘণ্টার কর্মবিরতি।
এই কারণে বন্দরে কোনও আমদানি পণ্য বের হচ্ছে না। একই সঙ্গে রফতানি পণ্যও বন্দরে প্রবেশ করতে পারছে না। সেখানে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে। এই পরিস্থিতি আমদানি-রফতানি শিল্পকে হুমকির মুখে ফেলেছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। এ অবস্থায় রবিবার সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে বন্দর চেয়ারম্যানের।
জানা গেছে, চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে প্রতিদিন প্রায় আট হাজার যানবাহন (প্রাইম মুভার, ট্রাক, কাভার্ডভ্যান) চলাচল করে। নতুন ট্যারিফ অনুযায়ী ৫৬টি বন্দর সেবার গড়ে ৪১ শতাংশ ফি বেড়েছে। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ ১৫ অক্টোবর থেকে নতুন শুল্ক কাঠামো কার্যকর করেছে, যার আওতায় যানবাহনের প্রবেশ ফি ৫৭ দশমিক ৫০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২৩০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এই অতিরিক্ত খরচ আমদানিকারক নাকি ডিপো মালিক- কে বহন করবে সে বিষয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দেওয়ায় যানবাহন মালিকরা প্রতিবাদে নেমেছেন।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম প্রাইম মুভার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ হোসেন বলেন, অতিরিক্ত ফি কে দেবে, শ্রমিক না মালিক, সে বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। তাই মালিক ও শ্রমিকরা মিলে আপাতত পরিবহন বন্ধ রেখেছেন।
বাংলাদেশ ইনল্যান্ড কনটেইনার ডিপোস অ্যাসোসিয়েশনের (বিআইসিডিএ) মহাসচিব রুহুল আমিন সিকদার বলেন, প্রাইম মুভার বন্ধ থাকায় চট্টগ্রাম বন্দর ও ১৯টি বেসরকারি ডিপোর মধ্যে কনটেইনার পরিবহন মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়েছে। বন্দরে চলাচল বন্ধের ফলে কিছু ডিপোতে কনটেইনার জমে যাচ্ছে, যা দীর্ঘ হলে পুরো রেফতানি কার্যক্রমে বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে।
চট্টগ্রাম কাস্টমস এজেন্ট এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া জানান, সিঅ্যান্ডএফ মালিক ও শ্রমিকরা রবিবার সকাল ৯টা থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে চার ঘণ্টার কর্মবিরতি পালন করছেন।
বন্দর সচিব ওমর ফারুক বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ট্রেইলর ও পণ্যবাহী গাড়ি চলাচলে বিভিন্ন স্থানে বাধা দেওয়া হচ্ছে। এ কারণে কনটেইনার হ্যান্ডলিং কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। বন্দরের হ্যান্ডলিং ও অপারেশন কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে।

















