ফরিদপুরে বিএনপি নেতাকর্মীদের পুলিশ ভয়ভীতি দেখাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নায়াব ইউসুফ। সাবেক এমপি ও এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি এ কে আজাদের নির্বাচনি গণসংযোগে স্থানীয় যুবদলের হামলার অভিযোগে ওঠার পর সংবাদ সম্মেলন করে তিনি এ বিষয়ে বক্তব্য দেওয়ার সময় এ কথা বলেন।
নায়াব ইউসুফ ফরিদপুর-সদর আসনের সাবেক এমপি ও সাবেক মন্ত্রী চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফের মেয়ে। তিনি এ আসন থেকে বিএনপির দলীয় মনোনয়ন পেতে কাজ করছেন। এ ছাড়াও এই আসনের জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সৈয়দ মোদাররেছ আলী ইছা ও যুবদলের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি মাহাবুব হাসান ভূঁইয়া পিংকু দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী।
রবিবার (১৯ অক্টোবর) বিকালে ফরিদপুর সদর উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের পরমানন্দপুর বাজারে গনসংযোগকালে হামলার শিকার হন ফরিদপুর সদর আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এ কে আজাদ। অভিযোগ ওঠে, তার গাড়িবহরে হামলা করেন স্থানীয় যুবদল নেতাকর্মীরা। সে সময় ডিবি পুলিশের একটি গাড়ি এবং এ কে আজাদের বহরের একটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়।
এ ঘটনার পর সোমবার এ কে আজাদ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘চাঁদাবাজি ও পদ্মা নদী থেকে অবৈধভাবে বালুকাটার বিরোধিতা করার কারণেই পরমানন্দপুরে হামলার ঘটনা ঘটেছে।’
মঙ্গলবার দুপুরে স্থানীয় ফরিদপুর প্রেসক্লাবের লিয়াকত হোসেন মিলনায়নতনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ফরিদপুর সদর আসনের বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী নায়াব ইউসুফ বলেন, ‘দুই দিন ধরে আমাদের নেতাকর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ভয়ভীতির সৃষ্টি করছে; যেমনটা অতীতে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা বিএনপির নেতাকর্মীদের ভয়ভীতি দেখিয়ে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে নিবৃত্ত করার চেষ্টা করতেন।’
তিনি দাবি করেন, ‘ফরিদপুরের মাটিতে আওয়ামী দুঃশাসনের আমল নতুন রূপে শুরু হয়েছে। ’২৪ পরবর্তী বাংলাদেশে এসেও অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে বলতে হচ্ছে, ফরিদপুরের পুলিশ প্রশাসন এই সব আওয়ামী দোসরদের পুনর্বাসনের লক্ষ্যে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করে যাচ্ছে।’
সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তিনি স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, স্বরাষ্ট্রসচিব, পুলিশের আইজিপি এবং ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজির দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, ‘অতি দ্রুত নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন আওয়ামী লীগ ফরিদপুর জেলা শাখার সাবেক সহ-সভাপতি ও বর্তমান উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য এ কে আজাদসহ ফ্যাসিবাদের পুনর্বাসনকারীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করছি।’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন– জেলা বিএনপি সদস্যসচিব এ কে কিবরিয়া স্বপন, যুগ্ম আহ্বায়ক আফজাল হোসেন খান পলাশ, সৈয়দ জুলফিকার হোসেন, মো. আজম খান, রাশেদুল ইসলাম লিটন, এ বি সিদ্দিকী মিতুল, মহানগর বিএনপি নেতা এএফএম কাইয়ুম জঙ্গী, গোলাম মোস্তফা মিরাজ, বেনজির আহমেদ তাবরিজ প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলন শেষে নায়াব ইউসুফ দলের নেতাকর্মীদের নিয়ে শহরে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন।
















