সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (শাকসু) নির্বাচনের রোডম্যাপ আগামী সোমবার ঘোষণা করা হবে। বুধবার (২২ অক্টোবর) বিকাল ৪টায় শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচিতে এসে এ ঘোষণা দিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য মো. সাজেদুল করিম।
এর আগে পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিকাল পৌনে ৩টা থেকে প্রশাসনিক ভবনের সামনে ‘শিক্ষার্থীবৃন্দ, শাবিপ্রবি’-এর ব্যানারে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা ‘শাকসু আমার অধিকার, রুখে দেওয়া সাধ্য কার’, ‘শাকসু নিয়ে টালবাহানা, চলবে না, চলবে না’, ‘শাকসু ইন নভেম্বর, রিমেম্বার প্রশাসন’, ‘শাকসুর রোডম্যাপ, দিতে হবে দিতে হবে’, ‘উই ওয়ান্ট, শাকসু শাকসু’, ‘শাকসু দিলে প্রশাসন, না দিলে প্রহসন’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।
একপর্যায়ে সেখানে এসে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ও দাবির বিষয়ে আমরা উপাচার্য স্যারের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। নির্বাচনের রোডম্যাপ ও কমিশন গঠনের বিষয়ে আমরা উনার বক্তব্য জানতে চেয়েছিলাম। উপাচার্য বলেছেন, আগামী সোমবার তিনি ঢাকা থেকে ফিরবেন এবং গঠনতন্ত্র অনুসারে নির্বাচন কমিশন গঠন করবেন।’
ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য আরও বলেন, ‘উপাচার্য স্যার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয় অংশীজনের সঙ্গে যেন সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় থাকে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আমরা আশা করছি সোমবারে শিক্ষার্থীদের দাবির বিষয়টি শতভাগ পূর্ণ হবে।’
ভারপ্রাপ্ত উপাচার্যের এ ঘোষণার পর বিকাল সোয়া ৪টায় কর্মসূচি শেষ করেন শিক্ষার্থীরা। পরে কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী দেলোয়ার হাসান শিশির বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন রোডম্যাপ ঘোষণার নির্দিষ্ট সময় উল্লেখ করেছে। আগামী সোমবার যদি রোডম্যাপ ও নির্বাচন কমিশন যদি গঠন করা না হয়, তাহলে প্রশাসনিক কার্যক্রম অচল করে দেওয়া হবে।
এ বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শাবিপ্রবির সাবেক সমন্বয়ক পলাশ বখতিয়ার বলেন, ‘নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার আর কোনও বিলম্ব মেনে নেওয়া হবে না। নির্ধারিত সময়ে রোডম্যাপ ঘোষণা না দিলে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। নির্বাচন নভেম্বরেই দিতে হবে।’
গত রবিবার শাকসু নির্বাচনের রোডম্যাপের দাবিতে মানববন্ধন ও মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলন করেন একদল শিক্ষার্থী। সেখান থেকে তারা অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছিলেন। এর আগে নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে নির্বাচনের আয়োজনের পরিকল্পনার কথা বলছিলেন উপাচার্য এ এম সরওয়ারউদ্দিন চৌধুরী। তবে গত তিন মাসে শুধু শাকসুর গঠনতন্ত্র পুনঃপ্রণয়ন করেছে কর্তৃপক্ষ। কর্তৃপক্ষের ঘোষিত সম্ভাব্য সময় কাছাকাছি চলে আসায় নির্বাচন কমিশন ও তফসিল ঘোষণা না হওয়ায় শিক্ষার্থীর আশঙ্কা প্রকাশ করেন।