ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের হামলায় কমপক্ষে ২০-২৫ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিটি ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক মো. লুৎফর রহমান।
সোমবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে সিটি ইউনিভার্সিটির কনফারেন্স কক্ষে সংবাদ সম্মেলন করে এসব তথ্য জানান তিনি।
উপাচার্য বলেন, ‘সিটি ইউনিভার্সিটিতে হামলা করতে আসা ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির ৫-৬ জন শিক্ষার্থীকে সিটি ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা আটকে রেখেছিল। তারা অসুস্থ হওয়ায় পরে তাদের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আরও ১১ জনকে আটকে রেখেছেন শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের দাবি, ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য স্বশরীরে এখানে এসে ক্ষতি সরজমিনে পর্যবেক্ষণ করবেন এবং তার কাছেই ১১ জনকে হস্তান্তর করা হবে।’
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘রবিবার রাতে থুতু ফেলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ড্যাফোডিল ও সিটি ইউনিভার্সিটির দুজন শিক্ষার্থীর মধ্যে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে। বিষয়টি রাত ১০টার দিকে সমাধান হয়ে যায়। কিন্তু রাত ১০টার পর থেকে ভোর ৪টা পর্যন্ত ড্যাফোডিলের অসংখ্য দুষ্কৃতকারী শিক্ষার্থী সিটি ইউনিভার্সিটিতে হামলা চালায়। তারা ইউনিভার্সিটির প্রধান ফটক ভাঙচুর করে। সীমানা প্রাচীর ভাঙচুর করেছে। এ ছাড়া ১৩টির মতো গাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছে।
‘হামলাকারী শিক্ষার্থীরা পরিকল্পিতভাবে আমাদের অফিস রুমে প্রবেশ করে ভিসি, প্রোভিসি, রেজিস্ট্রারের কক্ষসহ অফিসের সব কম্পিউটার ভাঙচুর করে। গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র লুট করেছে। রাত সাড়ে ৪টার দিকে ক্যাম্পাসে এসে হতভম্ব হয়ে যাই। শিক্ষার্থীদের দ্বারা এমন কাজ কীভাবে সম্ভব। এরপর ড্যাফোডিলের উপাচার্যকে বিষয়টি জানিয়ে একজন প্রতিনিধি পাঠানোর অনুরোধ করা হয়।’
প্রশাসনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে অধ্যাপক লুৎফর রহমান বলেন, ‘পুলিশ প্রশাসনকে বিষয়টি জানানো হলেও তারা কোনও সহযোগিতা করেনি। হামলায় আমাদের ২৫-২৬ জন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। আরও প্রায় শতাধিক আহত হয়েছেন।’
‘হামলাকারীরা শিক্ষার্থীসুলভ আচরণ করেনি। যাদের ধরা হয়েছে তারা যখন ভাঙচুর চালাচ্ছিল তখন তাদের ধরা হয়েছে। তারা শুধু শিক্ষার্থী নয় শিক্ষার্থী কি ল্যাপটপ, কম্পিউটার, এসি এগুলো চুরি করতে পারে? আমরা চাই ড্যাফোডিল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনার মধ্য দিয়ে সমাধান করতে। সমাধান নাহলে আইনের আশ্রয় নেবো। ২০-২৫ কোটি টাকার মতো ক্ষতি হয়েছে। ইউজিসি থেকে প্রতিনিধি দল আসছে বিষয়টি পর্যবেক্ষণের জন্য।’
তিনি জানান, সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে আজকের জন্য সব ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। সিন্ডিকেট সভার পরে ক্লাস-পরীক্ষার বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

















