বগুড়ায় দুর্বৃত্তরা হাবিবুর রহমান খোকন (৩৮) নামে এক ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। সোমবার (২৭ অক্টোবর) রাত সোয়া ৮টার দিকে শহরের সেউজগাড়ি পালপাড়া এলাকায় ইসকন মন্দিরের সামনে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।
হামলায় বাঁধন (২৬) নামে একজন গুরুতর আহত হয়েছেন। তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে দুটি মোটরসাইকেল, মাথার টুপি ও দুই জোড়া স্যান্ডেল পাওয়া গেছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, নিহত হাবিবুর রহমান খোকন বগুড়া শহরের মালতিনগর দক্ষিণপাড়ার কামাল হোসেনের ছেলে। তিনি আগে শহরের কানুচগাড়ি এলাকায় হোটেলের ব্যবসা করতেন। বর্তমানে ইট, বালুর ব্যবসার সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। আহত তার সঙ্গী বাঁধন বগুড়া শহরের মালতিনগর এলাকার মৃত আবদুর রশিদের ছেলে।
সোমবার রাত সোয়া ৮টার দিকে দুর্বৃত্তরা সাতমাথা-তিনমাথা সড়ক থেকে হাবিবুর রহমান খোকন ও তার সঙ্গী বাঁধনকে শহরের সেউজগাড়ী পালপাড়ায় ইসকন মন্দিরের সামনে নিয়ে যায়। সেখানে তারা ধারালো অস্ত্র দিয়ে খোকনের মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করলে ঘটনাস্থলে তিনি মারা যান। এ ছাড়া তারা বাঁধনকে মারধর করলে তার পা ভেঙে যায়। স্থানীয়রা হতাহতদের উদ্ধার করে বগুড়া
শজিমেক হাসপাতালে পাঠান।
পরে ৯৯৯ নম্বরে ফোন সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। ঘটনাস্থলে আইনজীবী লেখা বগুড়া-ল-১২-৭০১২ নম্বরের ও ঢাকা মেট্রো-ল-৪৩-৭৪৫৭ নম্বরের মোটরসাইকেল পাওয়া গেছে। সেখানে দুই জোড়া স্যান্ডেল ও একটি মাথার টুপি পড়েছিল।
ছিলিমপুর মেডিক্যাল পুলিশ ফাঁড়ির এটিএসআই লালন হোসেন জানান, আহত বাঁধনকে শজিমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নিহত খোকনের লাশ মর্গে রাখা হয়েছে।
বগুড়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তফা মঞ্জুর জানান, তাৎক্ষণিকভাবে হত্যাকাণ্ডের কারণ ও ঘাতকদের বিষইয়ে কিছু জানা যায়নি। লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে।
বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) আতোয়ার রহমান জানান, এর সঙ্গে কারা জড়িত সে সম্পর্কে কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি। এ ব্যাপারে তদন্ত চলছে।

















