সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (শাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন আয়োজনের জন্য ১৩ সদস্যবিশিষ্ট নির্বাচন কমিশন গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তবে নির্বাচনের কোনও রোডম্যাপ দেওয়া হয়নি।
সোমবার (২৭ অক্টোবর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে নির্বাচন কমিশনারদের নাম ঘোষণা করেন রেজিস্ট্রার সৈয়দ ছলিম মোহাম্মদ আবদুল কাদির। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এ এম সরওয়ারউদ্দিন চৌধুরী, সহ-উপাচার্য মো. সাজেদুল করিম, কোষাধ্যক্ষ ইসমাইল হোসেন, ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালক এছাক মিয়া প্রমুখ।
শাকসু নির্বাচনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন শিল্প ও উৎপাদন প্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক আবুল মুকিত মোহাম্মদ মোকাদ্দেছ। অন্য নির্বাচন কমিশনাররা হলেন জৈবপ্রযুক্তি ও জিন প্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মো. কামরুল ইসলাম, পুর ও পরিবেশ কৌশল বিভাগের মো. মিছবাহ উদ্দিন, পলিটিক্যাল স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক মো. নজরুল ইসলাম, লোক প্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক মো. আশরাফ সিদ্দিকী, বাংলা বিভাগের অধ্যাপক মো. রেজাউল ইসলাম, খাদ্য প্রকৌশল ও চা প্রযুক্তি বিভাগের অধ্যাপক জি এম রবিউল ইসলাম, গণিতের অধ্যাপক রেজোয়ান আহমেদ, রসায়নের অধ্যাপক মো. মাহবুবুল আলম, সমাজকর্মের অধ্যাপক মো. আবদুল জলিল, নৃবিজ্ঞানের অধ্যাপক মোহাম্মদ মনযুর-উল-হায়দার, স্থাপত্য বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ইফতেখার রহমান ও ইংরেজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক রাজিক মিয়া।
রেজিস্ট্রার বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন বর্তমান প্রবিধি অনুযায়ী শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ ও হল সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালনা করবেন।’
উপাচার্য এ এম সরওয়ারউদ্দিন চৌধুরী উপস্থিত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, ‘তোমরা নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আলোচনা করে নির্বাচনের নির্দিষ্ট তারিখ ও রোডম্যাপ ঠিক করবে। একই সঙ্গে সুষ্ঠু, সুন্দর ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের আয়োজনের জন্য নির্বাচন কমিশনকে সহযোগিতা করবে।’
এর আগে ২২ অক্টোবর নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার দাবিতে আন্দোলন করেন একদল শিক্ষার্থী। এরপর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল, আজ সোমবার নির্বাচনের রোডম্যাপ ও নির্বাচন কমিশন গঠন করা হবে। নির্বাচন কমিশন গঠন হলেও আজ রোডম্যাপ ঘোষণা করা হয়নি।

















