চট্টগ্রাম নগরীতে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও গুলির ঘটনায় মো. সাজ্জাদ (২৫) নামে এক ছাত্রদল কর্মী নিহত হয়েছেন। সোমবার (২৭ অক্টোবর) দিবাগত রাত ১টার দিকে নগরীর বাকলিয়া অ্যাক্সেস রোড এলাকায় এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে আহত হয়েছেন অন্তত ১৫ জন।
নিহত সাজ্জাদ কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর থানাধীন হিরাকান্দা এলাকার মো. আলমের ছেলে। তিনি নগরীর বাকলিয়া থানার তক্তারপুল এলাকার বিসমিল্লাহ টাওয়ারে বসবাস করতেন। তিনি বাকলিয়া থানা ছাত্রদলের রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। তবে তার পদ-পদবি জানা যায়নি। আহতদের চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানিয়েছে, এক বিএনপি নেতার ব্যানার সরানো নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও সংঘর্ষ, গুলির ঘটনা ঘটে। এর একটি পক্ষ যুবদল নেতা এমদাদুল হক বাদশার অনুসারী। অপর পক্ষের নেতৃত্বে ছিলেন হুমায়ুন-বোরহান গ্রুপ। তবে কেউ কেউ বলছেন, এলাকায় ইট-বালুর ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ, আধিপত্য বিস্তারসহ নানা কারণে বিবদমান এসব গ্রুপগুলোর মধ্যে এ ঘটনা ঘটেছে।
নগরীর পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সোলাইমান বলেন, ‘বাকলিয়া অ্যাক্সেস রোড এলাকায় গুলিবিদ্ধ এক যুবককে স্থানীয় লোকজন চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসে। চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় বেশ আহত কয়েকজন চিকিৎসাধীন আছেন।’
নিহত সাজ্জাদ নগর যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এমদাদুল হক বাদশাহর সক্রিয় কর্মী ছিলেন বলে জানা গেছে।
এ প্রসঙ্গে এমদাদুল হক বাদশা বলেন, ‘সন্ত্রাসীরা গুলি করার আগে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে দেয়। যারা গুলি করেছে, তাদের আইনের আওতায় আনা হোক।’
চমেক হাসপাতাল পুলিশ বক্সের ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) নুরুল আলম আশিক বলেন, ‘সাজ্জাদ নামে এক যুবক গুলিবিদ্ধ হন। গুরুতর আহত অবস্থায় চমেক হাসপাতালে আনা হলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার বুকে গুলির আঘাত রয়েছে। এ ছাড়াও গুলিবিদ্ধ আরও কয়েকজন হাসপাতালে ভর্তি আছেন।’

















