সাভারে দুই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনায় ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জিম্মি করে জোরপূর্বক মিথ্যা জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন প্রতিষ্ঠানটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম আর কবির। সিটি ইউনিভার্সিটি মিথ্যাচার করছে বলেও দাবি করেছেন তিনি।
সংঘর্ষের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়টির পক্ষ থেকে ৬ সদস্যর তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কমিটি আগামী ৭ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দেবে উল্লেখ করে এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও জানিয়েছেন উপাচার্য।
মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) দুপুরে ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের কনফারেন্স রুমে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
উপাচার্য বলেন, রবিবার (২৬ অক্টোবর) রাতে সংঘর্ষের ঘটনাকে ভিন্নভাবে উপস্থাপন করে সব দায় ড্যাফোডিলের ওপর চাপানোর চেষ্টা করছে সিটি বিশ্ববিদ্যালয়। সংঘর্ষে ড্যাফোডিলের শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। অনেকেই গুরুতর আহত হয়ে হাসাপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। সেদিন রাতে ড্যাফোডিলের ১১ শিক্ষার্থীকে জিম্মি করে জোরপূর্বক পরিকল্পিত হামলার জবানবন্দির ভিডিও ধারণ ও তা প্রচার করে ড্যাফোডিলের শিক্ষার্থীদের একতরফা দোষী করা হচ্ছে। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে প্রকৃত দোষীদের শনাক্ত করা যাবে। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনও (ইউজিসি) বিষয়টি দেখছেন।
ড্যাফোডিল শিক্ষার্থীদের হাতে সাংবাদিকদের হেনস্তার প্রসঙ্গে করা এক প্রশ্নে তিনি বলেন, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারিনি। সাংবাদিকদের সঙ্গে বিরূপ আচরণ করায় তিনি দুঃখপ্রকাশ করেন।
উপাচার্য জানান, পরিস্থিতি বিবেচনায় আগামী ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সিটি ইউনিভার্সিটির একাউন্টস থেকে দেড় কোটি টাকা চুরি, অস্ত্রসহ হামলার নির্দেশ লুটপাটের ঘটনায় জিম্মি শিক্ষার্থীদের নির্যাতন করে মিডিয়া ট্রায়াল করার লক্ষ্যে মিথ্যাচার করে সিটি কর্তৃপক্ষ প্রচার করেছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপচার্য অধ্যাপক ড. মাসুম ইকবাল, ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির এক্সটার্নাল অ্যাফেয়ার্সের পরিচালক সৈয়দ মিজানুর রহমানসহ আরও অনেকে।
প্রসঙ্গত, রবিবার রাতে থুতু ফেলাকে কেন্দ্র করে শুরু হওয়া সংঘাতে রণক্ষেত্রে পরিণত হয় সাভারের খাগান এলাকা। ড্যাফোডিল ও সিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ চলে রাতভর। আহত হন উভয় বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শতাধিক শিক্ষার্থী। অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর করা হয় সিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভবনসহ বিভিন্ন স্থাপনা ও পরিবহন। পরে এ ঘটনায় বিচার ও ক্ষতিপূরণ দাবি করে সিটি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এ ছাড়া তদন্ত কমিটি গঠনসহ আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়ধীন বলে জানান সিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আবু জায়েদ।

















