এখনও উদ্ধার হয়নি চট্টগ্রাম নগরের সাগরিকা এলাকায় লরির ধাক্কায় উল্টে যাওয়া মালবাহী ট্রেনের ইঞ্জিন। তবে দুর্ঘটনার পর থেকে এটি উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। কবে নাগাদ উদ্ধার কাজ শেষ হবে সে বিষয়ে এখনও নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না রেলওয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। এদিকে দুর্ঘটনার তদন্তে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে রেলওয়ে।
এ প্রসঙ্গে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের চট্টগ্রাম বিভাগীয় ব্যবস্থাপক মোস্তাফিজুর রহমান ভূঁঞা মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৭টায় বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, দুর্ঘটনাকবলিত মালবাহী ট্রেনের ইঞ্জিন এখনও উদ্ধার হয়নি। তবে উদ্ধারে কাজ চলমান আছে। দুর্ঘটনায় ট্রেনের ইঞ্জিনটি পুরোপুরি কাত হয়ে গেছে। এ কারণে উদ্ধারে কিছুটা সময় লাগছে।
তিনি আরও বলেন, দুর্ঘটনার কারণ তদন্তে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির প্রধান করা হয়েছে বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা আনিসুর রহমানকে। তিন কার্যদিবসের মধ্যে রিপোর্ট দেওয়ার জন্য কমিটিকে বলা হয়েছে। ইতিমধ্যে তদন্ত কমিটি তাদের কাজ শুরু করেছে।
এর আগে মঙ্গলবার ভোরে চট্টগ্রাম নগরের সাগরিকা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় একজন নিহত হন। নিহত ব্যক্তির নাম শামসুল হাই (৬০)। তার বাড়ি চট্টগ্রাম নগরের পাহাড়তলীর দিদার কলোনিতে। তিনি ওই এলাকায় থাকা দোকানগুলোর নিরাপত্তা প্রহরী হিসেবে কাজ করতেন। দুর্ঘটনার সময় ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
এতে মালবাহী ট্রেনের ইঞ্জিনে থাকা ট্রেনের দুই কর্মী আহত হয়েছেন। তারা হলেন- লোকোমাস্টার (ট্রেনচালক) মনিরুল ইসলাম ও সহকারী লোকোমাস্টার আলমগীর। তাদেরকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
রেলওয়ের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের তথ্য অনুযায়ী, নগরের চট্টগ্রাম গুডস পোর্ট ইয়ার্ড (সিজিপিওয়াই) থেকে মালবাহী ট্রেনটি ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেয় ভোর ৪টায়। ভোর ৪টা ২০ মিনিটের দিকে সাগরিকার বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান ক্রিকেট স্টেডিয়ামের পাশ দিয়ে যাচ্ছিল ট্রেনটি। এ সময় লরিটি রেললাইনে ঢুকে পড়ে সরাসরি ট্রেনের ইঞ্জিনে ধাক্কা দেয়। এ সময় ইঞ্জিন ও একটি বগি লাইনচ্যুত হয়। দুর্ঘটনার পর ট্রেনের বাকি মালবাহী বগিগুলো সিজিপিওয়াই স্টেশনে নিয়ে আসা হয়েছে।

















