Swadhin News Logo
বুধবার , ২৯ অক্টোবর ২০২৫ | ১৩ই কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. best
  2. cassinoBR
  3. আন্তর্জাতিক
  4. কৃষি ও প্রকৃতি
  5. ক্যাম্পাস
  6. খেলাধুলা
  7. চাকরি
  8. জাতীয়
  9. জোকস
  10. তথ্যপ্রযুক্তি
  11. দেশজুড়ে
  12. ধর্ম
  13. নারী ও শিশু
  14. প্রবাস
  15. বই থেকে

ব্যানার ছেঁড়ায় ছাত্রদল কর্মীকে গুলি করে হত্যা, যুবদলের ৮ কর্মী গ্রেফতার

প্রতিবেদক
Nirob
অক্টোবর ২৯, ২০২৫ ৬:৩৭ অপরাহ্ণ
ব্যানার ছেঁড়ায় ছাত্রদল কর্মীকে গুলি করে হত্যা, যুবদলের ৮ কর্মী গ্রেফতার

চট্টগ্রামে যুবদলের দুই পক্ষের গোলাগুলিতে ছাত্রদলের এক কর্মী নিহতের ঘটনায় ৫৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এরই মধ্যে অভিযান চালিয়ে যুবদলের আট কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার রাতে মামলার পর তাদের গ্রেফতার করা হয়। এর আগে সোমবার দিবাগত রাত ২টার দিকে নগরের বাকলিয়া এক্সেস রোডের বগার বিলমুখ এলাকায় এ গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। নিহত ছাত্রদল কর্মীর নাম মো. সাজ্জাদ। তিনি নগর যুবদলের বিলুপ্ত কমিটির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক (বহিষ্কৃত) এমদাদুল হক বাদশার অনুসারী ছিলেন। এ ঘটনায় গতকাল রাতে বাকলিয়া থানায় মামলা করেন নিহতের বাবা মোহাম্মদ আলম।

মামলার আসামিদের মধ্যে ১৭ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। এ ছাড়া অজ্ঞাতপরিচয় ৪০ জনকে আসামি করা হয়েছে। নাম উল্লেখ করা আসামিরা হলেন—চকবাজার থানা ছাত্রদলের সাবেক সাহিত্য সম্পাদক ও বর্তমানে যুবদলের পদপ্রত্যাশী বোরহান উদ্দিন, পটিয়ার জঙ্গলখাইন ইউনিয়ন তাঁতী লীগের সভাপতি নজরুল ইসলাম; বোরহানের সহযোগী মো. মিল্টন, ছোট বাদশা, মো. ইউসুফ, সবুজ ইসলাম, সাইদুল ইসলাম, এমরান হোসেন, মোহাম্মদ দিদার, রিয়াজ করিম, মো. জিহান, তামজিদুল ইসলাম, মো. আরাফাত, বোরহান ওরফে ছোট বোরহান, মো. মোজাহের, এহতেশামুল হক ওরফে ভোলা ও মো. নাঈম উদ্দিন।

পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার রাতে গ্রেফতার আসামিদের মধ্যে ছয় জনের নাম মামলার এজাহারে রয়েছে। তারা হলেন—সবুজ ইসলাম, সাইদুল ইসলাম, এমরান হোসেন, মো. জিহান, তামজিদুল ইসলাম ও মো. আরাফাত। এ ছাড়া গ্রেফতার অপর দুজন হলেন—মো. ওসমান ও দিদারুল ইসলাম। তারা সবাই যুবদলের কর্মী। পুলিশের অভিযানে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। প্রধান আসামি বোরহানকেও গ্রেফতার করা যায়নি।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ৫ আগস্টের পর থেকে বোরহান এবং তাঁতী লীগ নেতা নজরুল নিজেদের নগর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি গাজী সিরাজ উল্লাহর অনুসারী পরিচয় দিয়ে আসছেন। তবে গাজী সিরাজ দাবি করছেন, তার সঙ্গে এই দুজনের কোনও সম্পর্ক নেই।

মামলার এজাহারে বলা হয়, সিটি মেয়র ও নগর বিএনপির সাবেক সভাপতি শাহাদাত হোসেন তার ছবি ব্যবহার করে নগরের বিভিন্ন স্থানে সন্ত্রাসী-চাঁদাবাজদের টাঙানো ব্যানার তুলে ফেলার নির্দেশ দেন। এরপর বাকলিয়াসহ বিভিন্ন এলাকায় লাগানো কিছু ব্যানার খুলে ফেলেন মো. জসিম নামের এক যুবদল কর্মী। এর মধ্যে শাহাদাত ও সিরাজের ছবিসহ বোরহানের একটি ব্যানারও ছিল। ব্যানার ছেঁড়ার কারণে রাতে জসিমকে ৮ থেকে ১০ জনের একটি দল তুলে নিয়ে যায়। আটকে রেখে মারধর করা হয়। জসিমকে আটকে রাখার খবর ছড়িয়ে পড়লে ছাড়িয়ে আনতে যান ছাত্রদল-যুবদলের কিছু নেতাকর্মী। এ সময় বাকলিয়া এক্সেস রোডে তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন বোরহানের লোকজন। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে সাজ্জাদের মৃত্যু হয়।

আসামিরা বাকলিয়া এলাকায় জায়গা দখল, চাঁদাবাজিসহ নানা অপকর্ম করে আসছেন বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়। প্রধান আসামি বোরহান একসময় যুবলীগের রাজনীতিতে যুক্ত ছিলেন। ৫ আগস্টের পর গাজী সিরাজের ছবি দিয়ে যুবদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর সফলতা কামনা করে বেশ কিছু ব্যানার টাঙান তিনি।

বাকলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইখতিয়ার উদ্দিন বলেন, ‌‘ছাত্রদল কর্মী হত্যা মামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে আট জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেফতার ও অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান চলছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা ব্যানার ছিঁড়ে ফেলাকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটেছে বলে স্বীকার করেন।’

নিহতের বাবা মোহাম্মদ আলম বলেন, ‘আমার ছেলেকে যুবদল নামধারী বোরহানের নেতৃত্বে গুলিতে খুন করা হয়েছে। তাকে যাতে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ আট জনকে ধরেছে। তবে মূল আসামিসহ অস্ত্র যাতে উদ্ধার হয়। আমি খুনিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।’

সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক