Swadhin News Logo
বৃহস্পতিবার , ৩০ অক্টোবর ২০২৫ | ১৪ই কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. best
  2. cassinoBR
  3. আন্তর্জাতিক
  4. কৃষি ও প্রকৃতি
  5. ক্যাম্পাস
  6. খেলাধুলা
  7. চাকরি
  8. জাতীয়
  9. জোকস
  10. তথ্যপ্রযুক্তি
  11. দেশজুড়ে
  12. ধর্ম
  13. নারী ও শিশু
  14. প্রবাস
  15. বই থেকে

শ্যালিকাকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ও হত্যার দায়ে দুলাভাইসহ ৪ জনের আমৃত্যু কারাদণ্ড

প্রতিবেদক
Nirob
অক্টোবর ৩০, ২০২৫ ৬:৫১ অপরাহ্ণ
শ্যালিকাকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ও হত্যার দায়ে দুলাভাইসহ ৪ জনের আমৃত্যু কারাদণ্ড

ফরিদপুরে শ্যালিকাকে (২৫) সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ও হত্যার দায়ে দুলাভাইসহ চার জনকে আমৃত্যু কারাদণ্ড  দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ শামীমা পারভীন এ আদেশ দেন।

আদালত ওই চার আসামিকে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগে দুটি ধারায় রায় দেন। হত্যার দায়ে আমৃত্যু কারাদণ্ড এবং ধর্ষণের দায়ে যাবজ্জীবন সশ্রম করাদণ্ড দেন। দণ্ডপ্রাপ্তরা হলে- ধর্ষণ ও হত্যার শিকার ওই নারীর দুলাভাই ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর গ্রামের জাহাঙ্গীর ব্যাপারী (৩৮), একই গ্রামের কামরুল মৃাধা (৩৮), আলী ব্যাপারী (৪৩) ও চরদড়ি কৃষ্ণপুর গ্রামের বক্কার ব্যাপারী (৩৮)। দণ্ডের পাশাপাশি তাদের ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়।

অপরদিকে ধর্ষণের দায়ে তাদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও এক লাখ করে টাকা জরিমানা করা হয়। দণ্ডপ্রাপ্তরা দুই সাজা একসঙ্গে ভোগ করতে পারলেও উভয় দণ্ডের আর্থিক জরিমানা দিতে হবে। মামলার আরও দুই আসামি মমতাজ বেগম (৬৩) ও আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আলী আলী ব্যাপারীর বাবা আবুল কালাম আলী ব্যাপারীকে (৬৮) মামলার আলামত নষ্ট করার দায়ে পাঁচ বছর করে সশ্রম কারদণ্ড এবং ২০ হাজার টাকা জরিমান অনাদায়ে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। রায় ঘোষণার সময় জাহাঙ্গীর ব্যাপারী ছাড়া অন্য আসামিরা আদালতে হাজির ছিল। পরে পুলিশের পাহারায় তাদের জেলা কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। 

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ২০১২ সালের ১ অক্টোবর রাত ১টার দিকে জাহাঙ্গীর তার সহযোগীদের নিয়ে শ্যালিকার বাড়িতে গিয়ে বলেছিল তোমার বোন এসেছে দরজা খোলো। শ্যালিকা দরজা খোলার পর জাহাঙ্গীরসহ অন্য আসামিরা ঘরে ঢুকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ শেষে শ্বাসরোধে হত্যা করে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় ওই নারীর মা বাদী হয়ে ২০১২ সালের ২৩ অক্টোবর ফরিদপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জাহাঙ্গীরসহ সাত জনকে আসামি করে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগে মামলা করেন। ২০১৭ সালের ২৮ নভেম্বর ফরিদপুর গোয়েন্দা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আবুল কালম জাহাঙ্গীরসহ ছয় জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। 

আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) গোলাম রব্বানী ভূঁইয়া বলেন, ‘২০১২ সালে ঘটনার পর সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ মামলাটি না নেওয়ায় পরবর্তী সময়ে আদালতে মামলা করেন বাদী। দীর্ঘ সময় ধরে মোট সাত জন কর্মকর্তা তদন্ত করেন। দীর্ঘসূত্রতার সৃষ্টি হলেও ন্যায়বিচার পেয়ে আমরা (রাষ্ট্রপক্ষ) সন্তুষ্ট।’

সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক