Swadhin News Logo
বৃহস্পতিবার , ৩০ অক্টোবর ২০২৫ | ১৫ই কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. best
  2. cassinoBR
  3. আন্তর্জাতিক
  4. কৃষি ও প্রকৃতি
  5. ক্যাম্পাস
  6. খেলাধুলা
  7. চাকরি
  8. জাতীয়
  9. জোকস
  10. তথ্যপ্রযুক্তি
  11. দেশজুড়ে
  12. ধর্ম
  13. নারী ও শিশু
  14. প্রবাস
  15. বই থেকে

ছয় বছর আগে চট্টগ্রাম থেকে ‘অপহরণ’, ফেনীতে মিললো কাস্টমস কর্মকর্তার লাশ

প্রতিবেদক
Nirob
অক্টোবর ৩০, ২০২৫ ৯:৩৫ অপরাহ্ণ
ছয় বছর আগে চট্টগ্রাম থেকে ‘অপহরণ’, ফেনীতে মিললো কাস্টমস কর্মকর্তার লাশ

চট্টগ্রাম থেকে ছয় বছর আগে নিখোঁজ হওয়া কাস্টমস কর্মকর্তা আবদুল আহাদের (৪৬) লাশ ফেনী থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। ২০১৯ সালের ৭ মে চট্টগ্রাম থেকে তাকে অপহরণ করা হয়েছিল অভিযোগ করে পরিবারের সদস্যরা বলছেন, ওই দিনের পর থেকে কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। বুধবার (২৯ অক্টোবর) সকালে ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে থেকে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

পুলিশ জানায়, প্রথমে ধারণা করা হয়েছিল নিহত ব্যক্তি স্থানীয় কোনও দিনমজুর। তবে পকেটে থাকা একটি বেসরকারি ব্যাংকের হিসাব নম্বর থেকে প্রকৃত পরিচয় পাওয়া যায়। এরপর চট্টগ্রামের কাস্টমস কর্মকর্তা আবদুল আহাদ হিসেবে তার পরিচয় নিশ্চিত হয় এবং পরিবারকে খবর দেওয়া হয়।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, আবদুল আহাদ মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া থানার ভূইগাঁও ইউনিয়নের দাউদপুর গ্রামের মো. ইমানি মিয়ার ছেলে। স্ত্রী ও দুই কন্যাসন্তান রয়েছে তার। কর্মজীবনের শুরুতে একটি কলেজে প্রভাষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করলেও পরে কাস্টমস বিভাগে যোগ দেন। সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, ঢাকা হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও সর্বশেষ চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দায়িত্ব পালন করেন আহাদ। সেখান থেকেই নিখোঁজ হয়েছিলেন।

নিহতের ছোট বোন নাঈমা নাসরিন বলেন, ‘আমার ভাই চট্টগ্রামে একাই থাকতেন। ২০১৯ সালের ৭ মে ভোরে ভাবিকে ফোন দিয়ে জানানো হয় যে ভাইকে অপহরণ করা হয়েছে। পরে ভাবি দুই লাখ টাকা মুক্তিপণ দেন, কিন্তু ভাই আর ফিরে আসেননি। আজ তার লাশ উদ্ধারের খবর পেলাম আমরা। আমার ভাই আওয়ামী লীগের সমর্থক ছিলেন। তবে কোনও পদে ছিলেন না। কেন তাকে অপহরণ করা হলো, কেন গুম করা হলো— কিছুই জানি না আমরা। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিচার চাই।’

ছাগলনাইয়ায় তার লাশ কীভাবে এলো, তা এখনও নিশ্চিত করতে পারেনি পুলিশ। তারা বলছে, নিহতের শরীরে আঘাতের চিহ্ন নেই। মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণজনিত কারণে মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এতদিন কোথায় ছিলেন, সে ব্যাপারেও কোনও ধারণা দিতে পারেনি পুলিশ।

নিহতের ভাগনে মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘অপহরণের পর আমরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিভিন্ন দফতরে গিয়েছিলাম। সংবাদ সম্মেলনও করেছিলাম। কিন্তু মামার খোঁজ মেলেনি। এখন লাশ পাওয়ার পর আমরা ঘটনার পূর্ণ তদন্ত ও দোষীদের শাস্তি চাই।’

ছাগলনাইয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. শাহ আলম জানান, নিহত কাস্টমস কর্মকর্তার ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। প্রতিবেদন হাতে পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।

থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল বাশার বলেন, ‘পরিবারের পক্ষ থেকে ছয় বছর আগের অপহরণের যে তথ্য জানানো হয়েছে, পুলিশ সেটি যাচাই করছে। প্রাথমিকভাবে এটিকে স্বাভাবিক মৃত্যু হিসেবে মনে হচ্ছে। তবু বিষয়টি তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক