বগুড়া শহরের সেউজগাড়ী পালপাড়া এলাকায় চাঞ্চল্যকর ব্যবসায়ী হাবিবুর রহমান খোকনকে (৩৭) কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় মামলায় মামলা হয়েছে। শনিবার বিকালে সদর থানার ওসি হাসান বাসির জানান, এ ঘটনায় ধলা নামে এক আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
নিহতের স্ত্রী ফারজানা আক্তার ঘটনার চার দিন পর শুক্রবার রাতে সদর থানায় ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে ২৫ জনের বিরুদ্ধে এ মামলা করেন।
মামলার নাম উল্লেখ করা আসামিরা হলেন– শহরের সেউজগাড়ী ও কৈচর এলাকার মুন্না, সামিউল, রকি, সিয়াম, সাগর, ধলা, মেহেদী কাঁকন, মাহিন, শাহীন, শাওন, শুভ, আল ইমরান, রাশেদ, ফেরদৌস, নান্টু ও রাফিদ।
পুলিশ ও এজাহার সূত্র জানায়, নিহত হাবিবুর রহমান খোকন বগুড়া শহরের দক্ষিণ মালতিনগর এলাকার আবুল কালাম আজাদের ছেলে। তিনি রেন্ট-এ-কারের ব্যবসা করতেন। খোকন বগুড়া পৌরসভার ১১নং ওয়ার্ড বিএনপির সক্রিয় সদস্য ছিলেন। গত ২৭ অক্টোবর রাত সোয়া ৮টার দিকে খোকন মোটরসাইকেলে তার বন্ধু শহরের ঠনঠনিয়া ভাইপাগলা মাজার এলাকার বাঁধনকে (৩০) নিয়ে ছুরিকাহত সাবেক ছাত্রদল নেতা পাভেলকে দেখতে শহরের সেউজগাড়ী পালপাড়ার দিকে যাচ্ছিলেন। এ সময় সন্ত্রাসীরা তাদের ধাওয়া করে সাতমাথা-তিনমাথা সড়ক থেকে সেউজগাড়ী পালপাড়ায় ইসকন মন্দিরের কাছে নিয়ে যায়। সেখানে ধারালো অস্ত্র দিয়ে খোকনের মাথা, হাত ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে কোপ দেয়। এ সময় পিটিয়ে বাঁধনের পা ভেঙে দেওয়া হয়। তাদের চিৎকারে এলাকাবাসী এগিয়ে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। পরে রক্তাক্ত খোকন ও বাঁধনকে উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক খোকনকে মৃত ঘোষণা করেন।
বগুড়া সদর থানার ওসি হাসান বাসির জানান, হত্যার চার দিন পর শুক্রবার রাতে নিহতের স্ত্রী ফারজানা আক্তার ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে ২৫ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেছেন। তাদের মধ্যে ধলা নামে এজাহারনামীয় একজনকে আগেই গ্রেফতার করা হয়েছে। মামলার স্বার্থে তাকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। তিনি আরও জানান, আসামিদের মধ্যে একজন স্থানীয় একটি দৈনিকের সাংবাদিকের ছেলে রয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
















