Swadhin News Logo
রবিবার , ২ নভেম্বর ২০২৫ | ৪ঠা অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. best
  2. cassinoBR
  3. আন্তর্জাতিক
  4. কৃষি ও প্রকৃতি
  5. ক্যাম্পাস
  6. খেলাধুলা
  7. চাকরি
  8. জাতীয়
  9. জোকস
  10. তথ্যপ্রযুক্তি
  11. দেশজুড়ে
  12. ধর্ম
  13. নারী ও শিশু
  14. প্রবাস
  15. বই থেকে

৬ মাস পর চালু হলেও সার কারখানাটিতে দেখা দিলো যান্ত্রিক ত্রুটি

প্রতিবেদক
Nirob
নভেম্বর ২, ২০২৫ ৭:১৯ অপরাহ্ণ
৬ মাস পর চালু হলেও সার কারখানাটিতে দেখা দিলো যান্ত্রিক ত্রুটি

দীর্ঘ ৬ মাস বন্ধ থাকার পর উৎপাদনে ফিরেছে দেশের বৃহত্তম রাষ্ট্রীয় সার কারখানা চিটাগাং ইউরিয়া ফার্টিলাইজার লিমিটেড (সিইউএফএল)। শনিবার (১ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৩টা থেকে কারখানাটিতে উৎপাদন শুরু হয় বলে জানিয়েছে সিইউএফএল কর্মকর্তারা। এর আগে, চলতি বছরের ১১ এপ্রিল গ্যাস সংকটের কারণে উৎপাদন বন্ধ হয়ে পড়ে।

সিইউএফএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মিজানুর রহমান বলেন, ‘শনিবার রাত সাড়ে ৩টা থেকে কারাখানার উৎপাদন শুরু হয়। গত ২০ অক্টোবর থেকে এ কারখানায় গ্যাস পাওয়া গেছে। উৎপাদন শুরুর কয়েক ঘণ্টা পর যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে এ কারখানায় উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। তবে কারখানা চালু আছে। ত্রুটি সারানোর পর পুনরায় উৎপাদন শুরু হবে।’

কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (কেজিডিসিএল) অপারেশন ডিভিশন বিভাগের মহাব্যবস্থাপক প্রকৌশলী আমিনুর রহমান বলেন, ‘গত ২০ অক্টোবর থেকে সিইউএফএল-এ গ্যাস সরবরাহ শুরু হয়। বর্তমানে দৈনিক ৪০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা হচ্ছে। সিইউএফএল-এ বর্তমানে ‘‘অ্যামোনিয়া’’ উৎপাদন হচ্ছে। ইউরিয়া উৎপাদনে গেলে গ্যাস সরবরাহ আরও বাড়াতে হবে। তবে আমরা প্রয়োজনীয় গ্যাস সরবরাহ দিতে প্রস্তুত আছি।’

কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (কেজিডিসিএল) গত ১১ এপ্রিল হঠাৎ গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দিলে সিইউএফএলের উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। গত ২০ অক্টোবর থেকে পুনরায় গ্যাস সরবরাহ শুরু হলে সপ্তাহ খানেকের প্রস্তুতির পর শনিবার রাতে এ কারখানায় উৎপাদন শুরু হয়।

কারখানা সচল রাখতে দৈনিক ৪৮ থেকে ৫২ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস প্রয়োজন। তবে গ্যাস সংকট ও যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে গত অর্থবছরে কারখানাটি মাত্র আড়াই লাখ মেট্রিক টন সার উৎপাদন করতে সক্ষম হয়। যেখানে কারখানাটির বার্ষিক উৎপাদন সক্ষমতা ৫ লাখ ৬০ হাজার মেট্রিক টনেরও বেশি। ১৯৮৭ সালের ২৯ অক্টোবর জাপানের প্রযুক্তি সহায়তায় কর্ণফুলী নদীর দক্ষিণ তীরে আনোয়ারার রাঙ্গাদিয়ায় গড়ে ওঠে সিইউএফএল।

সিইউএফএল সূত্র জানিয়েছে, বাংলাদেশ রাসায়নিক শিল্প করপোরেশনের (বিসিআইসি) নিয়ন্ত্রণাধীন এ কারখানায় প্রতিদিন গড়ে ১১০০ টন ইউরিয়া সার উৎপাদিত হয়। ইউরিয়া সারের বাইরে এই কারখানায় দৈনিক ৭০০ টন অ্যামোনিয়াও উৎপাদিত হয়। কারখানার উৎপাদিত এসব সার বিসিআইসির ডিলারদের মাধ্যমে প্রতি টন ইউরিয়া সার ২৫ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়। এতে ইউরিয়া সার থেকে প্রতিদিন আয় হয় পৌনে তিন কোটি টাকা। আর প্রতি টন অ্যামোনিয়া বিক্রি হয় ৫৪ হাজার টাকা করে। এতে মোট ৩ কোটি ৭৮ লাখ টাকার দৈনিক অ্যামোনিয়া উৎপাদন হয়। এই হিসাবে দিনে ৬ কোটি ৫৩ লাখ টাকার ইউরিয়া সার ও অ্যামোনিয়া উৎপাদিত হয়।

সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক