চট্টগ্রামের রাউজানে যুবদল কর্মী আলমগীর আলমকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় তার সহযোগী মোহাম্মদ রাজুকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার রাতে তাকে গ্রেফতার করা হয়। রবিবার (০২ নভেম্বর) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম ভূঁইয়া।
গ্রেফতার মোহাম্মদ রাজু (২৮) পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের রহমতপাড়ার মৃত নুর নবীর ছেলে। পুলিশ জানিয়েছে, আলমগীর আলমকে গুলি করার সময় তার পেছনে একটি মোটরসাইকেলে ছিলেন রাজু। তিনি আলমগীর আলমের সহযোগী ছিলেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ২৫ অক্টোবর বিকালে রাউজান পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের চারাবটতল বাজার সংলগ্ন কায়কোবাদ জামে মসজিদের সামনে আলমগীরকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ সময় তার স্ত্রী ও সন্তান পেছনে একটি অটোরিকশায় ছিলেন। পাশের গ্রামের এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে দাওয়াত খেয়ে বাড়িতে ফিরছিলেন তারা। তাদের বাড়ি পার্শ্ববর্তী ঢালারমুখ এলাকায়।
পরিবারের সদস্য ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কবরস্থানে লুকিয়ে থাকা আট থেকে ১০ জন আলমগীরকে গুলি ছোড়ে। এ সময় মোটরসাইকেলে থাকা আলমগীর ঘটনাস্থলেই নিহত হন। তার শরীরে পাঁচটি গুলির চিহ্ন পাওয়া যায়। তাকে হত্যার পর রাঙামাটি সড়ক দিয়ে অটোরিকশা ও মোটরসাইকেলে পালিয়ে যায় অস্ত্রধারীরা।
এ ঘটনার দুই দিন পর তার বাবা আবদুস সাত্তার বাদী হয়ে ২১ জনের নামোল্লেখ এবং অজ্ঞাতনামা আরও ছয়-সাত জনকে আসামি করে রাউজান থানায় মামলা করেন। তবে মামলার এজাহারে রাজুর নাম নেই। ঘটনার তদন্তে হত্যাকাণ্ডে তার সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এর আগে এ মামলায় এজাহারভুক্ত দুই আসামিকে গ্রেফতার করা হয়। তারা হলেন রাউজান কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মুহাম্মদ রাসেল খান (৩২) ও পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের রহমতপাড়ার বাসিন্দা ও যুবদল কর্মী মুহাম্মদ হৃদয় (৩০)।
ওসি মনিরুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, যারা আলমগীরকে গুলি করার জন্য কবরস্থানে লুকিয়ে ছিলেন, তখন তার পেছনে একটি মোটরসাইকেলে ছিলেন রাজু। তিনি আলমগীরের সহযোগী। হত্যাকাণ্ডে তার সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। রবিবার দুপুরে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।’

















