খুলনা মহানগরীর আড়ংঘাটা থানার ৩ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির কার্যালয়ে গুলি ও বোমা হামলা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এতে এমদাদুল হক (৫৫) নামে একজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন এক বিএনপি নেতাসহ দুজন।
রবিবার (২ নভেম্বর) রাত ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আহত যোগীপোল ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক ইউপি সদস্য মামুন শেখ (৪৫) এবং স্থানীয় বাসিন্দা বেল্লাল হোসেনকে (৩০) গুলিবিদ্ধ অবস্থায় খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
দলীয় সূত্র জানায়, বিএনপি নেতা ও সাবেক ইউপি সদস্য মামুন শেখকে লক্ষ্য করে একাধিক গুলি চালানো হয়। একটি গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে এমদাদুল হকের শরীরে বিদ্ধ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। পাশাপাশি মামুন শেখ ও বেল্লালের শরীরেও গুলি লাগে। তাদের খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, রবিবার রাতে বিএনপি নেতা মামুন শেখ স্থানীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে অফিসে বসেছিলেন। এ সময় দুর্বৃত্তরা মামুন শেখকে লক্ষ্য করে পরপর দুটি বোমা ও চারটি গুলি চালায়। প্রথম গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে পাশে থাকা এমদাদুল হকের শরীরে বিদ্ধ হয়। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এরপর সন্ত্রাসীরা আরও গুলি চালালে মামুন শেখ ও বেল্লাল গুলিবিদ্ধ হন। তখন দলীয় নেতাকর্মী ও স্বজনরা গুরুতর আহত দুজনকে দ্রুত খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।
আড়ংঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল বাসার বলেন, মামুন শেখ প্রায়ই দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে আড্ডা দেন। আজও আড্ডা দিচ্ছিলেন। রাত ৯টার দিকে কতিপয় দুর্বৃত্ত তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালায়। তার অবস্থা খুবই নাজুক। হামলার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতারে অভিযান শুরু করেছে পুলিশ। দুটি হাত বোমা ও চার রাউন্ড গুলি চালানো হয়েছে। আমরা তদন্ত করছি। পরে বিস্তারিত তথ্য জানানো হবে।
খানজাহান আলী থানা বিএনপির সভাপতি কাজী মিজানুর রহমান বলেন, যোগীপোল ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মামুন শেখকে দুর্বৃত্তরা গুলি করে। গুলিতে মামুনসহ তিন জন আহত হন। এর মধ্যে একজন নিহত হয়েছেন। বাকি দুজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
যোগীপোল ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মীর শওকত হোসেন হিট্টু বলেন, মামুনের অবস্থা গুরুতর। তাদের দুজনের চিকিৎসা চলছে। নিহত ও আহত ব্যক্তিরা আমাদের দলীয় নেতাকর্মী।

















