রাষ্ট্রের মৌলিক সংস্কারের বিরোধিতা ও ফ্যাসিবাদী কাঠামো টিকিয়ে রাখার যে গুপ্ত বাসনা বিএনপি দেখাচ্ছে তা গণঅভ্যুত্থানের চেতনার সঙ্গে প্রতারণার শামিল বলে উল্লেখ করে বিবৃতি দিয়েছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু)। একইসঙ্গে বিবৃতিতে অবিলম্বে গণভোট আয়োজনের দাবি জানিয়েছেন জাকসুর নেতারা। রবিবার (২ নভেম্বর) রাতে জাকসুর ভিপি আব্দুর রশিদ জিতু ও জিএস মাজহারুল ইসলাম স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘জুলাই সনদের ভিত্তিতে রাষ্ট্রের মৌলিক সংস্কারের বিরোধিতা ও ফ্যাসিবাদী কাঠামো টিকিয়ে রাখার যে গুপ্ত বাসনা বিএনপি দেখাচ্ছে, তা গণঅভ্যুত্থানের চেতনার সঙ্গে প্রতারণার শামিল। জুলাই গণঅভ্যুত্থান জনমানুষের দীর্ঘদিনের রাষ্ট্র সংস্কারের স্বপ্ন বাস্তবায়নের সুযোগ তৈরি করেছে। যে কাঠামো শাসকগোষ্ঠীকে স্বৈরাচার ও ফ্যাসিবাদী হিসেবে গড়ে তোলে, সেই কাঠামো বিলুপ্ত করতে কতিপয় মৌলিক সংস্কারের জন্য ঐকমত্য কমিশন সুপারিশ করলেও সেগুলো কার্যকর করতে ও আইনি ভিত্তি দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছে বিএনপি।’
ঐকমত্য কমিশনের অধিকাংশ ধারায় বিএনপির ‘নোট অব ডিসেন্ট’র সমালোচনা করে বিবৃতিতে বলা হয়, ‘নোট অব ডিসেন্ট বহাল থাকলে দেড় বছর ধরে কমিশনগুলোর আলোচনার কার্যকারিতা থাকে না। সেক্ষেত্রে বিগত জাতীয় সংসদ নির্বাচনগুলোর মতো নামমাত্র সংস্কারের ধোঁয়া তুলে নির্বাচনি ইশতেহার প্রণয়ন ও ক্ষমতায় গেলে স্বৈরাচারী কায়দায় সরকার পরিচালনার মধ্যে কোনও পার্থক্য থাকে না।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘পিএসসি, দুদক, ন্যায়পাল, মহা-হিসাব নিরীক্ষকের মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের প্রধান নিয়োগের ক্ষেত্রে যাতে নগ্নভাবে দলীয় প্রভাব না থাকে, সেজন্য কতিপয় যুগোপযোগী সংস্কার প্রস্তাব করেছে ঐকমত্য কমিশন। দলগতভাবে এসবের বিরোধী বিএনপি। ছাত্র-জনতার রক্তের বিনিময় বারবার সরকার পরিবর্তন হবে, গণঅভ্যুত্থান হবে। কিন্তু জনগণের ভাগ্যের পরিবর্তন হবে না, ফ্যাসিবাদী, দলদাস ও পরিবারতান্ত্রিক কাঠামো থেকে যাবে। এটি ছাত্র-জনতা হতে দেবে না।’















