গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের নিজ এলাকা পটুয়াখালী-৩ (গলাচিপা ও দশমিনা) আসনে দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করেনি বিএনপি। আসনটি নুরুল হক নুরের জন্য খালি রাখা হয়েছে বলে দাবি করেছেন দলের নেতাকর্মী ও স্থানীয় লোকজন। এখানে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হাসান মামুন মনোনয়নপ্রত্যাশী হিসেবে রয়েছেন।
সোমবার (০৩ নভেম্বর) বিকালে রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে দলীয় প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ সময় ২৩৭ আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়। সেখানে পটুয়াখালী-৩ ও পটুয়াখালী-২ আসন শূন্য রাখা হয়।
ঘোষিত তালিকা অনুযায়ী, পটুয়াখালী-১ আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক স্বরাষ্ট্র ও বাণিজ্যমন্ত্রী এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী। তিনি দীর্ঘদিন ধরে বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় থেকে জাতীয় পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। স্থানীয় পর্যায়ে তার জনপ্রিয়তা ও সাংগঠনিক অভিজ্ঞতা বিবেচনায় তাকে পুনরায় প্রার্থী করেছে দল।
পাশাপাশি পটুয়াখালী-৪ আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেন। তিনি প্রশাসনিক দক্ষতা, সাংগঠনিক নেতৃত্ব ও দক্ষিণাঞ্চলে বিএনপির পুনর্গঠনে সক্রিয় ভূমিকার জন্য দলের কেন্দ্রীয় পর্যায়ে বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছেন।
অপরদিকে, পটুয়াখালী-২ ও পটুয়াখালী-৩ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়নি। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ওই দুই আসনে শরিক দল বা অন্য রাজনৈতিক দলের প্রভাবশালী প্রার্থী থাকায় এবং একাধিক সম্ভাব্য প্রার্থী থাকায় কেন্দ্রীয় পর্যায় থেকে পুনর্মূল্যায়নের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় পর্যায়ের মতামত যাচাইয়ের পর আনুষ্ঠানিকভাবে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হবে।
স্থগিত আসন দুটিতে এরই মধ্যে বিকল্প প্রার্থীদের তৎপরতা শুরু হয়েছে। পটুয়াখালী-২ আসনে জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় কার্যকরী সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ এবং পটুয়াখালী-৩ আসনে ডাকসুর সাবেক ভিপি ও গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
এদিকে, নুরের আসন ফাঁকা রাখায় জেলার রাজনীতিতে নতুন করে আলোচনা চলছে। এ নিয়ে অনেকে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে লিখেছেন, আসনটি ভিপি নুরের জন্য খালি রাখা হয়েছে।
ফেসবুকে মুনতাসির তাশরিফ ফেসবুকে লিখেছেন, ‘পটুয়াখালী-২ ও ৩ আসনে জোটের প্রার্থী হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। পটুয়াখালী-২ আসনে এনসিপি ও ৩-আসনে গণঅধিকার পরিষদের প্রার্থী দেওয়া হবে।’
হাসান মিয়া নামে আরেকজন ফেসবুকে লিখেছেন, ‘বিএনপিতে পটুয়াখালী-৩ আসনে হাসান মামুনের বিকল্প নাই। তবে ভিপি নুরের জন্য হাসান মামুনকে মনোনয়ন দেয়নি বিএনপি। সরকার পরিবর্তনের পেছনে নুর ভাইয়ের অনেক অবদান আছে, তা মূল্যায়ন করেছে বিএনপি।’
এ নিয়ে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী হাসান মামুন সন্ধ্যায় নিজের ফেসবুকে লিখেছেন, ‘প্রিয় গলাচিপা-দশমিনাবাসী, আপনারা ধৈর্য ও আশঙ্কামুক্ত থাকুন। যেকোনো পরিস্থিতিতে পটুয়াখালী-৩ আসনে বিএনপির দলীয় প্রার্থী নির্বাচন করবে, ইনশাআল্লাহ।’
এ ব্যাপারে জানতে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের মোবাইল নম্বরে কল দিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি।

















