চাঁদপুর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে পাসপোর্ট করতে এসে আটক হয়েছেন দুই রোহিঙ্গা নারী। পরে তাদের পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। মঙ্গলবার দুপুরে তারা আটক হন।
আটক দুজন হলেন– কুতুপালংয়ের ২ নম্বর ক্যাম্পের ই-১১ ব্লকের বাসিন্দা সহিসু আলমের মেয়ে সুবাইরা এবং সোনা আলীর মেয়ে জুহুরা বেগম।
পাসপোর্ট অফিস সূত্র জানায়, দুপুর ১২টার দিকে দুজন নারী একসঙ্গে পাসপোর্ট অফিসে প্রবেশ করেন। তাদের মধ্যে সুবাইরা পাসপোর্টের জন্য ব্যাংক ড্রাফট, আবেদনসহ অন্যান্য কাগজপত্র নিয়ে আসেন। সঙ্গে ভোটার আইডির ভেরিফাইড কপি ও ফটোকপিও জমা দেন। ওই ভোটার আইডিটি চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলার এক নারীর।
এসব জালিয়াতির কথা স্বীকার করেছেন প্রতারক সুবাইরা ও জুহুরা। তারা জানান, সুবাইরাকে সৌদি আরব নেবে বলে এক লোক যোগাযোগ করে। সেই লোকের মাধ্যমেই পাসপোর্টের সব আনুষঙ্গিক কাগজপত্র জোগাড় করেন তারা। যদিও তারা দুজনেই দাবি করেন, ওই লোককে তারা চেনেন না।
চাঁদপুর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তা উত্তম কুমার সাহা বলেন, ‘আসলে আবেদনের মাধ্যমে এ ধরনের রোহিঙ্গাদের চিহ্নিত করতে বেগ পেতে হয়। যদিও চেহারা ও ভাষার মাধ্যমে অনুমান করে আমরা পাসপোর্ট গ্রহীতাদের বিভিন্ন প্রশ্ন করি। ওইসব প্রশ্নের মাধ্যমেই এমন রোহিঙ্গাদের চিহ্নিত করা সম্ভব হয়।’
চাঁদপুর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের উপপরিচালক মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘এসবি ক্লিয়ারেন্স বন্ধ হওয়ায় আমরা আরও সাবধানী। না হলে ফাঁকফোকর দিয়ে এসব রোহিঙ্গা পাসপোর্ট নিয়ে যেতে পারে। আমরা চেষ্টা করছি এ ক্ষেত্রে আরও বেশি সতর্ক হওয়ার।’
চাঁদপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাহার মিয়া বলেন, ‘যেহেতু তারা বৈধভাবে কুতুপালং ক্যাম্পে থাকে, তাদের ওই ক্যাম্পপ্রধানের কাছে হস্তান্তর করা হবে। ওই দুই নারী কেন ক্যাম্প থেকে বের হলো, এই বিষয়টি নিয়ে আইনি পদক্ষেপ নেবেন ওই ক্যাম্পপ্রধান।’















