নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে হামলা ও মারধরের শিকার হয়েছেন তিন সাংবাদিক। স্থানীয় এক ছাত্রদল নেতার বাবার নেতৃত্বে বুধবার (৫ নভেম্বর) বিকালে ফতুল্লার গিরিধারা বউবাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ছাত্রদল নেতার বাবা শাহাদাত হোসেনকে (৬০) আটক করেছে পুলিশ।
আহতরা হলেন- জাগো নিউজের সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি মো. আকাশ, স্থানীয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল নিউজ নারায়ণগঞ্জ’র ক্যামেরাপারসন আব্দুল্লাহ আল মামুন ও আয়াজ রেজা আরজু। তাদের উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট (খানপুর) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হামলায় নেতৃত্ব দেওয়া শাহাদাত হোসেন মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সহসভাপতি আতা-ই-রাব্বির বাবা।
এরই মধ্যে মারধরের ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে দেখা যায়, সাংবাদিকরা ঘটনাস্থলের ছবি ও ভিডিও ধারণ করলে শাহাদাত হোসেন ও তার লোকজন সাংবাদিকদের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। তারা সাংবাদিক মো. আকাশকে চড়-থাপ্পড় মারেন। এর প্রতিবাদ করলে ক্যামেরাপারসন আব্দুল্লাহ আল মামুনকেও মারধর করে গায়ের জামা-কাপড় ছিঁড়ে ফেলেন তারা। এমনকি সাংবাদিক পরিচয় দিলেও দফায় দফায় তাদের মারধর করেন শাহাদাত ও তার লোকজন।
আহত সাংবাদিক মো. আকাশ বলেন, ওই এলাকার এক নারীর অভিযোগ ছিল তাদের জমি দখল করে রেখেছিলেন শাহাদাত ও তার ছেলে রাব্বি। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী ফতুল্লা থানায় একাধিকবার অভিযোগ করেছেন। বিষয়টি নিয়ে তথ্য সংগ্রহ করতে বুধবার বিকালে ঘটনাস্থলে যাই আমরা। সেখানে গিয়ে ওই নারীর সঙ্গে কথা বলার খবর পেয়ে শাহাদাত তার লোকজন নিয়ে সেখানে এসে আমাদের ওপর হামলা চালান। এ সময় আমাকে ও আমার সঙ্গে থাকা ক্যামেরাপারসন আব্দুল্লাহ আল মামুন ও আয়াজকে বেধড়ক মারধর করেন। একপর্যায়ে আমাদের টেনে নিয়ে একটি কক্ষে আটকে লাঠি ও রড দিয়ে পিটিয়ে জখম করা হয়। সঙ্গে থাকা ক্যামেরা ও মোবাইল ভাঙচুর করা হয়। খবর পেয়ে আমাদের সহকর্মীরা ঘটনাস্থলে গেলে তাদের সঙ্গেও অশোভন আচরণ করেন তারা। পরে পুলিশ গিয়ে আমাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন।’
ফতুল্লা মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আনোয়ার হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘ছাত্রদল নেতা ও তার বাবার বিরুদ্ধে এক নারীর জমি দখলের অভিযোগের ভিত্তিতে সাংবাদিকরা সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে তাদের ওপর হামলা চালিয়ে মারধর করা হয়। এ ঘটনায় শাহাদাতকে আটক করা হয়েছে। আর আহত সাংবাদিকদের হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। মারধরের ঘটনায় অভিযোগ পেলে মামলা হবে।’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সহসভাপতি আতা-ই-রাব্বিকে একাধিকবার কল দিলেও রিসিভ করেননি।

















