চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ও চট্টগ্রাম-৮ (চান্দগাঁও-বোয়ালখালী) আসনে বিএনপির প্রার্থী এরশাদ উল্লাহর জনসংযোগে গুলিবিদ্ধ হয়ে সরওয়ার হোসেন বাবলাকে হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে। মামলায় বিদেশে পলাতক শীর্ষ সন্ত্রাসী সাজ্জাদ আলী খানসহ ৭ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এ মামলায় আরও ১৫ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়। বায়েজিদ বোস্তামী থানার এসআই নুর ইসলাম মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) রাতে নিহত সরওয়ারের বাবা আবদুল কাদের বাদী হয়ে নগরের বায়েজিদ বোস্তামী থানায় এ মামলা করেন।
মামলার আসামিরা হলেন- সাজ্জাদ আলী, মোহাম্মদ রায়হান, বোরহান উদ্দিন, নেজাম উদ্দিন, আলাউদ্দিন, মোবারক হোসেন ওরফে ইমন ও হেলাল ওরফে মাছ হেলাল।
এজাহারে বলা হয়, বিদেশে পলাতক সাজ্জাদ আলী দীর্ঘদিন ধরে সরওয়ার হোসেন বাবলাকে হত্যার হুমকি দিয়ে আসছিলেন। সর্বশেষ গত রবিবার তিনি সরওয়ারকে ‘সময় শেষ’ বলে মেরে ফেলার হুমকি দেন। গত বুধবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম-৮ (চান্দগাঁও-বোয়ালখালী) আসনে বিএনপির প্রার্থী এরশাদ উল্লাহর জনসংযোগে অংশ নেন সরওয়ার। এ সময় পেছন থেকে পিস্তল ঠেকিয়ে গুলি করলে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান। সাজ্জাদের নির্দেশে তার অনুসারীরা পরিকল্পিতভাবে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে।
পুলিশ জানায়, নিহত সরওয়ার হোসেন বাবলা সিএমপির তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী। তার বিরুদ্ধেও অস্ত্র ও চাঁদাবাজিসহ কমপক্ষে ১৮টি মামলা রয়েছে।
এর আগে বুধবার চট্টগ্রামের বায়েজিদ বোস্তামী থানাধীন চালিতাতলী এলাকায় এরশাদ উল্লাহ গণসংযোগ করেন। ওই সময় একদল অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী জনসংযোগের ভেতরে প্রবেশ করে গুলি চালায়। এ হামলায় বিএনপি নেতা এরশাদ উল্লাহসহ তিন জন গুলিবিদ্ধ হন। বাকি দুই জন হলো তার সঙ্গে জনসংযোগে থাকা সরোয়ার বাবলা ও শান্ত। এই ঘটনায় সরওয়ার হোসেন বাবলা নিহত হন।
















