একটি রাজনৈতিক দল ধর্মকে ব্যবহার করে জান্নাতের টিকেট দেওয়ার নামে নারীদেরকে বিভ্রান্ত করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য এবং নারী ও শিশু অধিকার ফোরামের আহ্বায়ক সেলিমা রহমান।
তিনি বলেন, ‘গ্রামের নারীরা অত্যন্ত সহজ-সরল, এই সুযোগ নিয়ে ওই রাজনৈতিক দল ধর্মকে ব্যবহার করে নারীদেরকে বিভ্রান্ত করছে। প্রান্তিক এলাকার নারী জনপ্রতিনিধিরাই আমাদের নির্বাচনের অন্যতম চালিকা শক্তি। গ্রামের নারীরা খালেদা জিয়া ও ধানের শীষকে ভালোবাসেন। গ্রামের নারীরাই নেত্রীর জন্য নামাজ পড়ে, রোজা রেখে দোয়া করেছেন, অন্য ধর্মাবলম্বীরাও প্রার্থনা করেছেন। বেগম খালেদা জিয়া এত নির্যাতনের পরও দেশ ছেড়ে কোথাও পালিয়ে যাননি। তিনি দেশের মানুষকে ভালোবাসেন। তাই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে ধানের শীষের পক্ষে কাজ করতে হবে।’
শনিবার (৮ নভেম্বর) দুপুরে সিলেট নগরীর একটি অভিজাত হোটেলে নারী ও শিশু অধিকার ফোরাম আয়োজিত বিভিন্ন অংশীজন সমন্বয়ে ‘সমাজে নারী ও শিশুর অধিকার প্রতিষ্ঠা বিএনপির নির্বাচনি অগ্রাধিকার’ শীর্ষক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
সেলিমা রহমান বলেন, ‘বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা সংস্কার কর্মসূচিতে সব রকম সংস্কারের কথা সবার অধিকারের কথা রয়েছে। আমরা ৩১ দফা নিয়ে মানুষের কাছে যাই, কিন্তু ৩১ দফার কোনও বিষয়ই মানুষকে বুঝিয়ে বলি না। আমাদেরকে বিষয়টি খেয়াল রাখতে হবে। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান নারী ক্ষমতায়নের বীজ বপন করেছিলেন। তিনি যৌতুক বিরোধী আইন করেছেন, কর্মক্ষেত্র সহ সর্বক্ষেত্রে নারীদের কোটা তৈরি করেছিলেন। নারীদেরকে প্রতিটি ক্ষেত্রে এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছেন। মেয়েদেরকে কারিগরি শিক্ষার মাধ্যমে দক্ষ জনশক্তি হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। নারীরাই একটি পরিবারের উন্নয়নের মুল চালিকাশক্তি। আপনারা যখন ঘরে ঘরে যাবেন, নারীদের সাথে কথা বলবেন।’
নারী ও শিশু অধিকার ফোরামের সদস্য সচিব নিপুণ রায় চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন- বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা তাহসিনা রুশদির লুনা, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক জিকে গউছ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক কলিম উদ্দিন আহমদ মিলন ও মিফতাহ্ সিদ্দিকী।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী, হাদিয়া চৌধুরী মুন্নী, সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আব্দুল হক, নারী ও শিশু অধিকার ফোরামের সদস্য নইমা খন্দকার।
অনুষ্ঠানে সিলেট বিভাগের বর্তমান ও সাবেক নারী চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

















