আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়পুরহাট-১ (সদর-পাঁচবিবি) আসনে বিএনপির দলীয় মনোনয়নকে কেন্দ্র করে অনেক নেতাকর্মী ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। এখানে মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন দলের আরেক নেতা ফয়সাল আলিম। শেষ পর্যন্ত মনোনয়ন পেয়েছেন মাসুদ রানা প্রধান। তবে স্থানীয় নেতাকর্মীদের বড় একটি অংশ, বিএনপি নেতা ফয়সাল আলিমকে বেশি যোগ্য ও গ্রহণযোগ্য প্রার্থী হিসেবে দেখছেন।
স্থানীয় বিএনপির একাধিক নেতা জানিয়েছেন, বিএনপি যথাযথ ব্যক্তিকে মনোনয়ন না দিলে এই আসনে জামায়াতের প্রার্থী সহজেই নির্বাচনি বৈতরণী পার হয়ে যেতে পারেন। বর্তমান শিক্ষিত ও সচেতন তরুণ প্রজন্ম এমন নেতৃত্ব চায়, যারা আধুনিক চিন্তাভাবনা ও নীতিনিষ্ঠ রাজনীতির প্রতীক। মাসুদ রানার শিক্ষাগত যোগ্যতা ও রাজনৈতিক পরিপক্বতাও প্রশ্ন আছে। অন্যদিকে ফয়সাল আলিম উচ্চশিক্ষিত ও রাজনৈতিকভাবে পরিপক্ব। নেতৃত্বের দিক থেকেও ফয়সাল আলিম অনেক এগিয়ে আছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিএনপির দুজন নেতা জানিয়েছেন, স্থানীয় রাজনীতিতে রানা প্রধানের নামের সঙ্গে বেশ কিছু বিতর্ক জড়িয়ে আছে। অভিযোগ রয়েছে, তিনি আওয়ামী লীগের কিছু নেতাকে আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে মামলা থেকে অব্যাহতি পেতে সহায়তা করেছেন। কিছু সহযোগীর মাধ্যমে অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকারও অভিযোগ আছে। জয়পুরহাট থানার চকবরকত ইউনিয়নে তার ঘনিষ্ঠ সহযোগীর বিরুদ্ধে গরু লুট ও হিন্দু পরিবারের ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার অভিযোগও স্থানীয়ভাবে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। এসব অভিযোগ নির্বাচনি মাঠে প্রতিদ্বন্দ্বীদের হাতে শক্তিশালী অস্ত্র হয়ে উঠতে পারে, যা ধানের শীষের প্রার্থীর ভাবমূর্তিকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করবে।
ফয়সাল আলিম জয়পুরহাটের তৃণমূলের নেতাকর্মীদের কাছে জনপ্রিয় বলেও জানিয়েছেন একাধিক নেতাকর্মী। তবে এসব বিষয়ে জানতে চাইলে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি ফয়সাল আলিম।

















