ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার বড়িকান্দি ইউনিয়নের থোল্লাকান্দি গ্রামে গনি শাহ মাজারের আধিপত্য নিয়ে গুলি এবং ডবল মার্ডারের ঘটনার অন্যতম হোতা রিফাত বাহিনীর প্রধান রিফাত ও তার এক সহযোগীকে বিদেশি অস্ত্র ও গুলিসহ গ্রেফতার করেছে র্যাব-৯।
সোমবার ভোররাতে অভিযান চালিয়ে জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার উজানচর ইউনিয়নের খোসকান্দি গ্রাম থেকে রিফাতকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী তার অন্যতম সহযোগী লিমানের থোল্লাকান্দি বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। সেখান থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, সাত রাউন্ড গুলি ও দুটি ম্যাগাজিন উদ্ধার করা হয়।
সোমবার বিকালে র্যাবের পক্ষ থেকে বিফ্রিংয়ে এসব তথ্য জানানো হয়।
প্রেস ব্রিফিংয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ র্যাবের সিপিসির কোম্পানি কমান্ডার নূরনবী বলেন, ‘ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগরের বড়িকান্দি ইউনিয়নের গনি শাহ্ মাজারের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে রিফাত বাহিনী এবং শিপন বাহিনীর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলছিল। পরে তা একপর্যায়ে সংঘর্ষে রূপ নেয়। ১ নভেম্বর রাত ৮টার দিকে শিপন বাহিনীর প্রধান শিপন গনি শাহ মাজারের পাশে একটি রেস্তোরাঁয় খাবার খাচ্ছিল। এ সময় রিফাত বাহিনীর প্রধান রিফাত ও আরাফাতসহ তার লোকরা শিপনের ওপর হামলা চালায়। এতে ঘটনাস্থলেই তিন জন গুলিবিদ্ধ হয়।
‘পরে শিপন বাহিনীর সদস্যরা পাল্টা রিফাত বাহিনীর ওপর হামলা চালায়। এতে এমরান মাস্টার নামে অপর একজন গুলিবিদ্ধ হয়। ঘটনার পরদিন শিপন বাহিনীর প্রধান শিপনের মৃত্যু হয়। এরপরের দিন গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ইয়াছিন নামে আরও একজন হাসপাতালে মারা যায়।’
র্যাব জানায়, ঘটনার পর নবীনগর থানায় মামলা হয়। এর পর থেকে র্যাব ওই এলাকায় গোয়েন্দা তৎপরতা শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় আজ ভোররাতে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বাঞ্ছারামপুর উপজেলার উজানচর ইউনিয়নের খোসকান্দি গ্রামে অভিযান চালিয়ে রিফাত বাহিনী প্রধান রিফাতকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী তার অন্যতম সহযোগী লিমানের থোল্লাকান্দির বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। সেখান থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, ৭ রাউন্ড গুলি ও ২টি ম্যাগাজিন উদ্ধার করা হয় এবং লিমানকে গ্রেফতার করা হয়।
র্যাবের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়, রিফাত বাহিনীর প্রধান রিফাতের নামে এখন পর্যন্ত ছয়টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে ডাকাতি, হত্যাচেষ্টা মামলা ও বিস্ফোরক আইনে মামলা রয়েছে।
এই ঘটনায় জড়িত অন্যদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান র্যাবের কর্মকর্তারা।

















